মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিশ্বকাপে চমক দেখানোর অপেক্ষায় নেদারল্যান্ডস

প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম

শেয়ার করুন:

বিশ্বকাপে চমক দেখানোর অপেক্ষায় নেদারল্যান্ডস

বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর মাঠে গড়াতে বাকি মাত্র কয়েক দিন। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অবস্থান করছে ভারতে। মূল আসর শুরুর আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি দলই খেলছে অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। ৫ই অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হওয়া দশ দলের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে টানা ৪৫ দিন বুঁদ হয়ে থাকবে ক্রিকেটে প্রেমীরা।

এরইমধ্যে সবাই সবার প্রিয় দলকে সাপোর্ট দিতে আয়োজনের কমতি নেই, কোন দলের শক্তিমত্তা কেমন, কোথায় দুর্বলতা সে সব নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমনই এক দল নেদারল্যান্ডস।


বিজ্ঞাপন


যেভাবে বিশ্বকাপে ডাচরা : আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওমান এবং নেপালকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে নেদারল্যান্ডস। ২০১১ সালের পর আসন্ন বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র পেয়ে থাকে ডাচরা।

অতীত ইতিহাস: ক্রিকেট বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের প্রথম অংশ গ্রহন ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপে উপস্থিতি ছিল দেশটির। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে শেষ একদিনের ক্রিকেটের বড় মঞ্চে অংশ নিয়ে থাকে ২০১১ সালে।

এর আগে ৪ বার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ২০ ম্যাচের ১৮টিতেই হেরেছে দলটি। বিপরীতে জয় পেয়েছে মাত্র ২টিতে।  পরিসংখ্যানের বিচারে বিশ্বকাপে বড় কোনো সফলতা নেই ডাচদের। তবে জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে নিজেদের খোলস পাল্টাতে শুরু করে তারা। শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বড় বার্তা দেয় সেখান থেকে। এবার মূল আসরেও চমক দেখাতে পারে দলটি।

আগামী ৬ অক্টোবর রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পঞ্চম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার যাত্রা শুরু করতে চলেছে।


বিজ্ঞাপন


২০২৩ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের শক্তি: ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে ডাচদের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের অলরাউন্ডাররা। বাস ডি লিড, টেজা নিডামানুরুর মতো দক্ষ অলরাউন্ডার রয়েছেন দলে। ব্যাটে বলে যারা ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন। এছাড়া রয়েছেন কলিন অ্যাকারমান, রোলফ ফন ডার মারওয়ে ও শারিজ আহমেদর মতো অলরাউন্ডার। বিক্রম সিং ও লোগান ফন বিকও অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতে পারেন।

দুর্বলতা: নেদারল্যান্ডস শিবিরের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্পিন। ব্যাটাররা স্পিন খেলায় দক্ষ নন। নিজেদের হাতে ভাল স্পিনারও নেই। দলের একমাত্র বলার মতো স্পিনার আরিয়ান দত্ত। কিন্তু তিনিও অনভিজ্ঞ। বাছাই পর্বে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিপক্ষে বিপাকে পড়েছিলেন ডাচরা। দুই ম্যাচে ২০ উইকেটের মধ্যে ১১টি নিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মহেশ তিকশানা। তাই ভারতের স্পিন বোলিং সহায়ক পরিবেশে অগ্নিপরীক্ষা ডাচদের।

যে কারনে ভারতের মাটিতে চমক দিতে পারে ডাচরা: তাদের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হল, তাদের নিয়ে কারও কোনও প্রত্যাশা নেই। তাই, চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামাতে পারবেন বাস ডি লিডিরা। তাদের হারানোর কিছু নেই। নিজেদের দিনে যে কোনও বড় দলকে হারিয়ে দিতে পারে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতা নেই ক্রিকেট বিশ্বের তথাকথিত বড় দলগুলির। তাই ডাচ ক্রিকেটারদের নিয়ে সকলের ধারণাও খুব একটা নেই। যা অস্ত্র হতে পারে তাদের।

ম্যাচ ঘুড়িয়ে দিতে পারে যেই ডাচ ক্রিকেটাররা: অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও বাস ডি লিড। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠতে পারেন। ব্যাটে বলে দলের সেরা অস্ত্র হতে পারেন লিড। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি রয়েছে। ৫ উইকেটও রয়েছে। ভারতের স্পিন বোলিং সহায়ক পিচে জ্বলে উঠতে পারেন লেগ স্পিনার আরিয়ান দত্তও।

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল

স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), কলিন অ্যাকারম্যান, শারিজ আহমেদ, ওয়েসলি বারেসি, লোগান ফন বিক, আরিয়ান দত্ত, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, রায়ান ক্লাইন, বাস ডি লিডি, পল ফন মিকেরেন, রোলফ ফন ডার মারওয়ে, টেজা নিডামানুরু, ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রম সিং ও সাকিব জুলফিকার।

 

বিশ্বকাপে অংশগ্রহন: আসন্ন বিশ্বকাপসহ ৫ বার  

শিরোপা: নেই

আইসিসি র‍্যাঙ্কিং: ১৪ নম্বরে

বিশ্বকাপের অধিনায়ক: স্কট এডওয়ার্ডস

বিশ্বকাপের কোচ: রায়ান কুক

বিশ্বকাপে তাদের প্রতিপক্ষ : পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড।

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর