নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এর। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই ইংলিশদের পেয়ে যেন ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলাই নিয়েছে কিউইরা। জস বাটলারের দল আগে ব্যাট করে ২৮২ রান তোলার পর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভন কনওয়ে-রাচীন রবীন্দ্রের বিশ্বরেকর্ড গড়া জুটিতে ব্ল্যাকক্যাপসরা জয় পেয়েছে ৯ উইকেট আর ৮২ বল হাতে রেখেই। আর মারমুখী ব্যাটিংয়ে এবারের আসরের প্রথম শতক তুলে নিয়েছেন কনওয়ে।
গতকাল কনওয়ের সঙ্গে ব্যাট হাতে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রবীন্দ্র। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই পেয়েছেন ব্যক্তিগত শতকের দেখা, করেছেন ৯৬ বলে ১১ চার আর ৫ ছয়ে অপরাজিত ১২৩ রান। এমন পারফর্ম্যান্সে বেশ কিছু রেকর্ডেও বসিয়েছেন নিজের নাম। এসবের মধ্যে অন্যতম বিশ্বকাপ অভিষেকে সেঞ্চুরি এবং ম্যাচসেরা হওয়া।
বিজ্ঞাপন
এদিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পাফর্ম্যান্স করা রবীন্দ্রের যে ভারতের সঙ্গেও কিছুটা যোগাযোগ আছে তা তো তাঁর নাম দেখেই ধারণা করা যায়। কিউই এই ক্রিকেটার মূলত ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে জন্ম হলেও বাবা রাবি কৃষ্ণমূর্তী এবং মা দীপা কৃষ্ণমূর্তী দুজনই ভারতীয়। জীবনের প্রয়োজনেই এক সময় রবীন্দ্রের পরিবার ব্যাঙ্গালুরুর পাট চুকিয়ে পাড়ি জমান নিউজিল্যাণদে।
এদিকে রবীন্দ্রের সফটওয়্যার সিস্টেম আর্কিটেক্ট বাবা ছিলেন ক্রিকেটের একজন পাগল সমর্থক, পছন্দ করতেন ভারতীয় কিংবদন্তী ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় এবং শচীন টেন্ডুলকারের খেলা। এতটাই পছন্দ করতেন যে ছেলের নামেও রাখলেন এই দুই সেরা ক্রিকেটারের ছোয়া।
হ্যা, রবীন্দ্রের নামের প্রথম অংশ অর্থাৎ রাচীন নামটি রাখা হয়েছে দ্রাবিড় আর শ্চীনের নাম মিলিয়েই। রাহুলের রা এবং শচীনের চীন মিলিয়েই বাবা রবীন্দ্রের নাম রেখেছেন রাচীন। আর সেই রাচীনই গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছেন বিশ্বকপ অভিষেকেই সেঞ্চুরির দেখা।
তবে এই রবীন্দ্রই যে বিশ্বকাপ অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাকাবেন তা কেই বা জানতো। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ওপেনিংয়ে খেলতেন ওয়েলিংটনের হয়ে, তবে জাতীয় দলের হয়ে এর আগে খেলেছেন লোয়ার মিডল অর্ডারে। অবে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এই পজিশনেও দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে তিনি খেলেছেন ৭২ বলে ৯৭ রানের ইনিংস। সেই সূত্রেই হয়তো বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আগেই নামিয়ে দেয়া হয় তাকে। আর এর সঠিক ব্যবহারই করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাকানোর পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছেন এক উইকেট। ফলে বিশ্বকাপ অভিষেকেই ম্যাচ সেরা হইয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে তিনিই হবেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার এমন প্রত্যাশাই এখন করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।





































































































































































