সুলতানা মাফরুহা চৌধুরী একজন মা। পেশায় একজন শিক্ষিকা। পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তাও। পরিবার সামলে পেশাগত জীবনেও তিনি একজন সফল নারী। ঢাকা মেইল তার কাছে জানতে চেয়েছিল কেমন কাটল ২০২২ সাল? ২০২৩ এ পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের জীবনের কেমন পরিবর্তন আশা করেন তিনি? আড্ডা গল্পে নিজের চলতি বছরের পাওয়া, না পাওয়া জানান তিনি।
মাফরুহা বলেন, অতিমারী কাটিয়ে ২০২২ সালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। যেহেতু আমি শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত তাই শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রাণ। শিক্ষার্থীদের কলকাকলীতে মুখরিত শিক্ষাঙ্গন আমাকে আপ্লুত করেছে এবছর।
বিজ্ঞাপন
বছরের সবচেয়ে বড় অর্জন আমার ছোট্ট উদ্যোগ বাবুই গাঁথুনির পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জার্মানিতে দুইবার উড়াল দিয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডেও গিয়েছে। সবার মধ্যে বাবুই গাঁথুনিকে ছড়িয়ে দিতে চাই। অনেকের সাধ আছে সাধ্য নেই। এই বিষয়টিকেও মাথায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি, তিনি যোগ করেন।

অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে আইটি স্কিল বেশ জরুরি। তাই নতুন বছরে এই বিষয়ে নিজে দক্ষ করতে চান এই নারী।
মাফরুহা মনে করেন, জীবনযাত্রার মান একদিকে যেমন উন্নত হয়েছে অন্যদিকে অতি ব্যস্ততার যুগে সবকিছু সামলে চলাও কঠিন হয়েছে। এই শিক্ষিকা বলেন, পরিবর্তিত বৈশ্বিক অবস্থায় আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বেসরকারি চাকরির নিরাপত্তা নেই। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিজনেসের ফলে সহজেই আন্তঃযোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। যার ফলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগও হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের অভিজ্ঞতা থেকে মাফরুহা সবার জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে প্রত্যেকের স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

নতুন বছরের রেজ্যুলেশন কী? নিজের কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনতে চান? প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নতুন বছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য সংযুক্ত করতে চাই। বাবুই গাঁথুনিকে সুপারশপ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও নিজের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে চাই।
সবার জন্য শুধু সার্টিফিকেট নয়, স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগও সমান হওয়া দরকার বলে আশা করেন তিনি।
এনএম




























































