শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রেকর্ড দামে বিক্রি হয় কাঁচামরিচ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩৫ এএম

শেয়ার করুন:

রেকর্ড দামে বিক্রি হয় কাঁচামরিচ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আর তার ফলে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে বছরের বেশিরভাগ সময় দিশেহারা ছিল দেশের মানুষ।

এর মধ্যে বাঙালির প্রতিদিনের রান্নায় প্রয়োজনীয় কাঁচামরিচের দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড করে ফেলে। চলতি বছরের আগস্টে কাঁচামরিচের দাম প্রতি কেজি ৩শ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এতে চরম বিপাকে পড়েন ক্রেতারা।


বিজ্ঞাপন


বর্ষা মৌসুমে আবাদ কম ও সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে দফায় দফা বাড়ে কাঁচামরিচের দাম। আগস্টের শুরুর দিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়।

এ সময় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হলেও তার প্রভাব বাজারে পড়তে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়।

৯ আগস্ট রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও, আরামবাগ, সেগুনবাগিচাসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। আগের দিন ৮ আগস্ট প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম বাড়ে ৪০ থেকে ৮০ টাকা।

৯ আগস্ট মতিঝিল মসজিদ মার্কেটের এক সবজি বিক্রেতা বলছিলেন, আজ প্রতি পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা করে বিক্রি করছি। তবে কেউ এক কেজি কিংবা হাফ কেজি নিলে ৩০০ টাকা কেজি দরে দিচ্ছি।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও জানান, বর্ষার কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে। আগের দিন প্রতিপাল্লা (৫ কেজি) ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় পাইকারি কিনেছি। ফলে সোমবার প্রতি পোয়া ৬০ টাকা করে বিক্রি করা গেছে। কিন্তু আজ পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। প্রতিপাল্লা এক হাজার টাকার বেশি পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ পাঁচ কেজি কাঁচামাল কিনলে প্রায় এক কেজি নষ্ট হয়। ফলে ৩০০ টাকার নিচে কেজি বিক্রি করলে লোকসান পড়তে হয়।

এসময় মরিচ কম খেয়েছেন ক্রেতারাও। যারা নিয়মিত এক কেজি বা হাফ কেজি মরিচ কিনতেন তারা কিনতেন একশ গ্রাম, আধা পোয়া, এক পোয়া হিসেবে।

খিলগাঁও কাঁচা বাজারের এক সবজি বিক্রেতা তখন বলেন, বেশিরভাগ ক্রেতা আধা পোয়া, এক পোয়া করে কাঁচামরিচ কিনছে। কেউ কেউ আবার ১০০ গ্রামও কিনতে চায়। ফলে আমরা পোয়া হিসাব করে কাঁচামরিচ বিক্রি করি।

তিনি বলেন, এক কেজি কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা বললে অনেকেই ভয় পেয়ে যায়।

উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বর্ষার কারণে অনেক কাঁচামরিচ ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার বন্ধ ছিল আমদানিও। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বছরের ওই সময়টায় দফায় দফায় কাঁচমরিচের দাম বৃদ্ধি পায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর