বছর চলে যায় চোখের পলকে। প্রতিটি বছর নতুনভাবে আমাদের সামনে আসে আর নতুন নতুন বিষয় আমাদের জীবনে আসে। ২০২২ সালটা আমার জীবনে নতুনভাবে এসেছে। এই বছরে মা হিসেবে আমার অর্জন সন্তানকে স্কুলে দেওয়া। বছরটা আমার জন্য আনন্দের যেমন ছিল, তেমনি চ্যালেঞ্জিংও ছিল।
নিজের অফিসের পাশাপাশি বাচ্চার স্কুলিং ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমার বাচ্চাটা বছর শেষে ডিসিপ্লিনের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে- এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন।
বিজ্ঞাপন
বছরের শেষের দিকে আরেকটি কাজ করেছি। মাস্টার্স অব এডুকেশন (এমএড) কোর্সে ভর্তি হলাম। বছরের শুরুতে ভেবেছিলাম পিএইচডির কাজটা শুরু করব। সেটা আর হয়ে ওঠেনি। এই বিষয়টা আমাকে কষ্ট দেয়। বাচ্চাটাকে ছোট রেখে খুব কষ্ট করেই ভর্তি হয়েছিলাম।
কিন্তু আমার সেই কষ্টের অর্জন হয়তো সম্ভব হবে না। আরেকটু ফোকাস দিলে, মানসিকভাবে আরেকটু শক্ত হলে হয়তো সম্ভব হতো কাজটা করা। আশা রাখছি নতুন বছরে নিজেকে আরেকটু গুছিয়ে নিতে পারব এবং অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারব।
বিজ্ঞাপন
২০২২ সালটা কোডিভ পরবর্তী জটিলতায় আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক প্রভাব ফেলেছে। সমগ্র বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতিতে গোটা বিশ্বে চরম অবস্থা বিরাজ করেছে। জীবনযাত্রার মান অনেক কঠিন হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই অসচ্ছল হয়েছেন, বেকারত্বের হার বেড়েছে। বৈশ্বিক এই মন্দাভাব নিশ্চয় কেটে যাবে এবং মানুষের মধ্যে নতুনভাবে সবকিছু শুরু করার প্রত্যাশা তৈরি হবে।
নতুন বছরে নতুনভাবে শুরু করতে পারব নিশ্চয়ই। পুরো বছরের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে নতুন করে সব শুরু করতে পারব। নতুন বছরে নিজের কিছু বিষয়ে অবশ্যই পরিবর্তন আসুক চাই। নিজেকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করব। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবো। পরিবার ও সন্তানের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করব।
২০২৩ সালের জন্য সবার প্রতি আহ্বান, নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে আরও বেশি যোগ্য করে তুলবেন। অর্থনৈতিক মন্দাভাব কেটে একটা সুন্দর নতুন বছর শুরু হোক, নতুন বছরে সেই প্রত্যাশাই করছি।
লেখক: সহকারী শিক্ষক (বাংলা), বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নির্ঝর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।
এনএম