নতুন বছর মানে নতুন আশা। নতুন বছর যেন বেশিরভাগ মানুষের জন্যই নতুন উদ্যমে পথ চলার অনুপ্রেরণা। শেষ হতে চলেছে ২০২২। কিন্তু কেমন কাটল এই বছর? ২০২৩ সালে নিজের কেমন পরিবর্তন আশা করেন ‘আফাফ ক্রিয়েশনস’ এর স্বত্বাধিকারী আরিফা খাতুন। সবার জন্য নতুন কোন বার্তা দিতে চান তিনি- এমন সব বিষয় নিয়েই আরিফার সঙ্গে আড্ডা হয় ঢাকা মেইলের।
২০২২ সাল খুব ভালো কেটেছে, এই বছরটা মোটামুটি পড়াশোনা করে কাটিয়েছি। তবে মনে দাগ কাটার মতো একটা ঘটনা আছে। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন নারায়ণগঞ্জ যাই জামদানি পল্লীতে, সেখানে একজন তাঁতি আপা আমাকে বলেছিল, এত সুন্দর করে একটা জামদানি শাড়ি পরে এসেছেন, জানেন আপা এগুলো তৈরি করতে আমাদের কত কষ্ট হয়? এই কথাটা আসলে সবসময় আমার মনে থাকবে- বলেন এই নারী উদ্যোক্তা।
বিজ্ঞাপন
তিনি যুক্ত করেন, আলহামদুলিল্লাহ, ২০২২ সাল জীবনের সেরা বছর বলা যায়। বছরের শুরুতেই বিবিসি বাংলা নিউজে আমার সাক্ষাৎকার এবং মার্চ মাসে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জব ফেস্টিভ্যাল আমার উদ্যোগের একটি স্টল এবং ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মাননা পাওয়া মনে রাখার মতো স্মরণীয় দিন। তাছাড়া মে মাসে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্পিচ দেওয়া ও সম্মাননা পাওয়া ছিল আমার এই বছরের প্রাপ্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বছর শেষে এসে কোনো বিষয় নিয়ে আফসোস আছে বা ‘এই কাজটা করা উচিত ছিল’ এমন কোনো উপলব্ধি আছে কি?— জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর শেষের দিকে আমার মনে হতে থাকে চেষ্টা করলে আরও একটু ভালো করা যেতো। এই বছর মনে হচ্ছে প্রতিদিন আরও একটু সময় বেশি পড়া উচিত ছিল।
বিজ্ঞাপন
উদ্যোক্তা আরিফা মনে করেন, এই বছর তার জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে চেষ্টার ফলে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, যে পরিশ্রম করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য, তার জীবনযাত্রার মান ভালো হবেই। পরিস্থিতি যাই হোক মানুষ চেষ্টা করলে সবদিকই অনেকটা পরিবর্তন করতে পারে। এক বছর আগের আমি আর এখনকার আমির মধ্যে পার্থক্য এসেছে এবং তা ইতিবাচক। আমি আমার জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পরিশ্রম করেছি, সবসময় ফোকাস করেছি পড়াশোনা করে নিজেকে তৈরি করতে। ধীরে ধীরে দক্ষতা বাড়ছে এবং সেই সাথে আমার জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে।
চলতি বছরের অভিজ্ঞতা থেকে সবার জন্য কোনো পরামর্শ আছে কিনা জানতে চাই তার কাছে। আরিফা বলেন, সত্যি বলতে এই বছর আমার বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। সবার জন্য পরামর্শ হলো, জীবনে কী চাই সেই লক্ষ্য স্থির করবেন। তারপর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করবেন। ভালো কিছু করার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা। আর নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সেই দক্ষতাকে কাজে লাগানো উচিত। তাই নিজেকে সেভাবেই তৈরি করে নিন।
নতুন বছরে মূলত পড়াশোনায় ফোকাস করে দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে সময় দিতে চান তিনি। তার মতে, যতই দিন যাচ্ছে দক্ষ মানুষের কদর বাড়ছে। আরিফা বলেন, আমি যদি দক্ষ হয়ে নিজের কাজে সময় দেই তাহলে আমার জন্য তা সুফল বয়ে আনবে।
নতুন বছরে দেশ বা সমাজের কেমন পরিবর্তন আশা করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশ বা সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন হোক সেটা সবসময় চাই। আমাদের দেশে ই-কমার্স সেক্টরের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং ই-কমার্স উদ্যোক্তারা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি চাই এই সেক্টরে আরও বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আসুক।
এনএম