বাজারে যেসব শাক সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে লালশাক একটি। বাঙালি বাড়িতে এই শাক দিয়ে নানা পদ রান্না করা হয়। মোটামুটি সারাবছরই বাজারে লালশাক মেলে।
ভাতের সঙ্গে লালশাক মাখলেই সুন্দর টুকটুকে লাল রঙ হয়ে যায়। সুস্বাদু এই শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
বিজ্ঞাপন

লালশাক কিছু মানুষের জন্য উপকারি। আবার কারো কারো জন্য এটি ক্ষতিকর। কারা এই শাক খাবেন, কারা এড়িয়ে চলবেন— চলুন জানা যাক।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস রোগীরা কি লালশাক খেতে পারবেন?
হজমে সাহায্য করে
বিজ্ঞাপন
লালশাকে রয়েছে একাধিক ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। এই শাক হজমে সাহায্য করে। এটি বদহজমসহ একাধিক সমস্যা দূর করে।

শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লালশাক খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী কফ ও পিত্ত দোষ দূর করে এই শাক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এটি।
আরও পড়ুন- লাল শাকের রঙ লাল হয় কেন?
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর লালশাক। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য অটুট রাখে। নিয়মিত লালশাক খেলে হাড়ের একাধিক রোগের আশঙ্কাও দূর হয়।

রক্তাল্পতা দূর করে
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে লালশাক। এটি হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। রক্তাল্পতা অসুখেও উপকারী এই শাক।
তবে এত উপকারী লালশাকেরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। কাদের লালশাক খাওয়া উচিত নয়, জানুন-

হাইপোগ্লাইসেমিয়া
ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয় লালশাক। তাই যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আছে তারা এটি খাবেন না।
অ্যান্টি কোয়াগুল্যান্টস
লালশাকে প্রচুর ভিটামিন কে আছে। তাই যারা অ্যান্টি কোয়াগুল্যান্টস নিচ্ছেন তারা এই শাক খাবেন না। এতে ড্রাগ মেটাবলিজমে সমস্যা হতে পারে।

অন্তঃসত্ত্বা বা নবজাতকের মা
যারা অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে স্তন্যপান করান, তারা লালশাক খাবেন না। কারণ এর অতিরিক্ত ফাইবার থেকে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে জ্বরও হতে পারে। অতিরিক্ত লালশাক খেলে উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে আয়রন শোষণে সমস্যা হতে পারে।
লাল শাক কেনার সময় সেটি খাঁটি কিনা দেখে নিন। লালশাক আসল হলে ভাত মাখার সময় তার রংও হবে লাল টুকটুকে। অনেকসময় লালশাকে কৃত্রিমভাবেও রং করা হয়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
এনএম

