রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

৫২’র ফেব্রুয়ারিতে উত্তাল ছিল নোয়াখালীও

এএসএম নাসিম
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

৫২’র ফেব্রুয়ারিতে উত্তাল ছিল নোয়াখালীও
ছবি : ঢাকা মেইল

১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। নোয়াখালী সদরের মূল কার্যক্রম সংগঠিত হতো মূলত জেলা শহর মাইজদীতে। এছাড়া রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকল্প কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল জেলার পার্শ্ববর্তী শহর চৌমুহনী।

নোয়াখালী সদর বা মহকুমা-কেন্দ্রীক ভাষা আন্দোলন ছিল অনেকটাই একুশের আন্দোলন। এই পর্বেই মূলত আন্দোলন সংগঠিতরূপে প্রকাশ পেয়েছিল মাইজদীতে। নোয়াখালী জেলা শহরের হেডকোয়ার্টার মাইজদীতে সংগঠকদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। 


বিজ্ঞাপন


তৎকালীন নোয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা শহর ছিল ফেনী। এটি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে অগ্রসর জনপদ হিসেবে বিবেচিত ছিল। ফেনী কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের মাধ্যমে 'তমদ্দুন মজলিস' শিক্ষিত সমাজে আলোচিত ছিল। তমুদ্দুন মজলিসের কার্যক্রম নোয়াখালী ছাড়িয়ে দেশব্যাপী আলোচিত ছিল।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন নোয়াখালী শহর ও এর অন্যান্য মহকুমায় তেমন প্রভাব ফেলেনি। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল ফেনী। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে ফেনীর বিশেষ ভূমিকা ছিল মূলত কলেজ ছাত্রদের উদ্যোগে। তাদের সঙ্গী ছিলেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। স্কুল ও কলেজ ছাত্রদের যৌথ কার্যক্রম ছিল উল্লেখযোগ্য।

ফেনীর ভাষা আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত 'সাপ্তাহিক সংগ্রাম' পত্রিকার সম্পাদক খাজা আহমেদ ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এ উপলক্ষে ফেনী কলেজ সংসদের সাধারণ সম্পাদক কোব্বাদ আহমদকে আহ্বায়ক করে ভাষা উদযাপন কমিটিও গঠিত হয়েছিল। সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে ফেনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সামসুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এবিএম মুসা, কাজী মেজবাহ প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন


পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ফেনীতে ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের।

ফেনী কলেজের ছাত্ররা সামনের সারি থেকে আন্দোলনকে ফেনীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও তৎকালীন সরকারবিরোধী ভূমিকার কারণে সেসময় 'সংগ্রাম' ও খাজা আহমেদকে অসংখ্যবার প্রশাসনিক হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছিল বলে জানা যায়।

ফেনী মহকুমা শহরের মাস্টারপাড়ায় সুজাত প্রেস থেকে প্রকাশিত 'সংগ্রাম' নিষিদ্ধের খড়গ জারি হয় ১৯৫০ সালে। একই বছরের অক্টোবরে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হন খাজা আহমেদ।

১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন নোয়াখালী শহর ও এর আশপাশের এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি না করলেও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন তুমুলভাবে আন্দোলিত করেছিল নোয়াখালীর ছাত্রসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে। আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল জেলা ও মহকুমা শহরগুলোয়।শহরের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জে ও এর প্রভাব পড়েছিল।

১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি চৌমুহনী বিদ্যামন্দিরসহ কয়েকটি স্কুলের ছাত্ররা সংগঠিত হয়ে ধর্মঘট পালন করে। একই সঙ্গে বিদ্যামন্দির ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রসভা। এটি একপর্যায়ে জনসভায় পরিণত হয়েছিল।

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর মাইজদী শহরে হরতাল পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ৫ শতাধিক ছাত্র শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের রাস্তাগুলো প্রদক্ষিণ করে মাস্টার আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে কেরানী ব্যারাকের সামনে জনসভায় সমাবেত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সালাম কিবরিয়া, কে এম শামসুদ্দিন প্রমুখ।

২১ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে মিছিল ও একই সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করেন। সেদিন বিকেলে সোনাইমুড়ি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনসভা আয়োজিত হয়।

ভাষা আন্দোলনের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে নোয়াখালী অঞ্চলের অনেকেই জেল খেটেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন-ফেনীর খাজা আহমদ, শামসুল হুদা, স্কুলছাত্র কাজী মেসবাহ উদ্দীন, নিখিল দাশ গুপ্ত, মাইজদীর আবুল কাসেম, চৌমুহনীর রইস উদ্দীন আহমদ, প্রয়াত ফজলুল করিম (পরবর্তীতে সাংবাদিক), ডা. রাস বিহারী দাস, চিত্তরঞ্জন সাহা (পরে পুথিঘর লিমিটেড ও মুক্তধারার মালিক) ও নুরুল হক মিয়া (আওয়ামী লীগ)। তবে নুরুল হক চৌধুরীর (কমরেড মেহেদী) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি।

এ আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে নোয়খালীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন  সাংবাদিক কামালউদ্দীন আহমেদ, রইচউদ্দিন, ফারুক মুজাম্মেল হক, প্রফেসর আবদুল জলিল প্রমুখ।

২৩ ফেব্রুয়ারি মাইজদী হাই স্কুলে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে হরতাল হয়।

ওই বছরর ২৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদ-এ উঠে এসেছিল নোয়াখালীর মাইজদীর আন্দোলনের সংবাদ। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ঢাকায় ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে মাইজদী কাছারি ময়দানে ফজলুল্লাহ ওরফে চর মিয়া সাহেবের সভাপতিত্বে এক বিরাট জনসভা হয়। সভায় স্কুল মাদ্রাসার ছাত্রগণ দলে দলে যোগদান করেন। নুরুল আমীন সরকারের পদত্যাগ, গুলিবর্ষণ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর বিচার দাবী করিয়া কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।'

নোয়াখালী সদরে সংগঠিত আন্দোলনের প্রভাবে নোয়াখালীর আইন সমিতির সভায় ঢাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ২ মার্চ আইন সমিতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল আজাদ পত্রিকায়। পরদিন এর প্রভাবে স্থানীয় মিউনিসিপালিটি মাঠে মুসলিম লীগের নেতাকর্মীরা এক পা পিছু হটে গুলিবর্ষণে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করেন।

১৯৪৮ সালের মতো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও নোয়াখালীতে অগ্রসর ছিল ফেনী।

ঢাকার আন্দোলনের ঘটনাগুলো নিয়মিত প্রত্যক্ষ করেছিল ফেনীর ছাত্রসমাজ। ঐতিহ্যমাফিক ফেনীর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা স্থানীয় রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয় ফেনী কলেজ সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমদকে। এই কমিটির উদ্যোগে ও নেতৃত্বে ফেনীতে গড়ে উঠেছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পুলিশের গুলিতে ছাত্র হত্যার সংবাদে ক্ষুব্ধ ফেনীর ছাত্রসমাজ সেদিন মিছিল নিয়ে ফেনী শহর প্রদক্ষিণ করে। সেসময় ছাত্রদের কণ্ঠে স্লোগান ছিল, 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই', 'খুনি নুরুল আমিনের বিচার চাই'।

২১ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় এসে মিছিলে যোগ দেয়। মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্ররাও পেছনে ছিলেন না। তারা ও অগ্রনী ভূমিকা রেখেছিলেন সে আন্দোলনে। মিছিলে শামিল ছিল ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররাও।

সেদিন ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। গ্রেফতার করা হয় ছাত্র ও যুব নেতাদের। তাদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন আহমদ, জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, লুৎফুর রহমান, ফরমান উল্লাহ ও শামসুল হুদা।

১ মার্চ দৈনিক আজাদ-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল ফেনীর পরশুরামে ২১ ফেব্রুয়ারির বিশাল ছাত্র সমাবেশের ঘটনা। এতে বলা হয় 'পরশুরাম, ২১শে ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বর্তমান মন্ত্রীসভার পদত্যাগ এবং এইপ্রকার জুলুমের স্থায়ী প্রতিকারের দাবীতে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের ছাত্রগণ ও জনসাধারণ পূর্ণ হরতাল পালন করে। তাহারা বিরাট শোভাযাত্রা বাহির করিয়া বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।'

নোয়াখালী ও ফেনীর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল জনসাধারণের সমর্থন এবং শহরের শিক্ষিত সমাজের সংশ্লিষ্টতা ও সহযোগিতা। এর ফলে আন্দোলন দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিল ফেনীর প্রত্যন্ত এলাকাতেও।

ভাষা শহীদ স্মরণ করার সাংস্কৃতিক উদ্যোগ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময় থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত সময়ে ও বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মরণে নোয়াখালীতে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করতো সে সময়ের কিশোর-তরুণরা। সে সময়ের স্মৃতি নিয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংস্কৃতিক সংগঠক বখতিয়ার শিকদার ঢাকা মেইলকে বলেন, তখন আমরা একেবারে কিশোর ছিলাম। আমি কচি কাঁচার মেলার সাথে যুক্ত ছিলাম। সেসময়ের বছরগুলোতে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে হারিকেন জ্বালিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের নেতৃত্বে আমরা জেলা জামে মসজিদ মোড়ে (বর্তমান স্কুল হেলথ ক্লিনিক) ইট দিয়ে শহীদ মিনার বানাতাম এবং সেখানে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতাম। পরদিন সকালে এসে দেখতাম পুলিশ আমাদের বানানো শহীদ মিনার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতো। 

জাতীয় কবিতা পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবীব ইমন ঢাকা মেইলকে বলেন, 'আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন কিংবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করি। আমরা ১৯৯০ পরবর্তী সময় থেকে প্রতিবছরই শ্রদ্ধার সঙ্গে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষাসৈনিকদের স্মরণ করতাম। সেসময় আমাদের নানান ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হতো। আমরা একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু করতাম। সকালে প্রভাতফেরিতে সবাই মিলিত হতাম। দিনভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতাম। এ সংস্কৃতি এখন অনেকটা দূরে সরে গেছে।'

বর্তমানেও ভাষা আন্দোলনের সঠিক মর্মার্থ প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করেন হাবীব ইমন। তিনি বলেন, 'সাংস্কৃতিক গণজাগরণ' এখনও প্রকৃত অর্থে হয়ে উঠেনি। দলীয় শৃঙ্খলে এখনও আবদ্ধ সাংস্কৃতিক অঙ্গন। গণমুক্তির যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল তা পূর্ণ রূপ ধারণ করতে পারেনি।

হাবীব ইমন বলেন, জেলার অনেক ভাষাসৈনিকদের নাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসলেও তাদের স্বীকৃতি দেওয়া ও স্মরণ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে আগামী প্রজন্মের কাছে তারা ক্রমশঃ বিস্মৃত হচ্ছেন। 

সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও প্রতিবছর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয় স্থানীয় প্রশাসন। দিবসটির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে নানান কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর