বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

পর্তুগালে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

পর্তুগালে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পর্তুগিজ স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাস ও পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ দিন প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল হাতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- গানটি গাইতে গাইতে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পরে একে একে বাংলাদেশ দূতাবাস, পর্তুগালের স্থানীয় আরোইশ ও সান্তা মারিয়া মাইয়র মিউনিসিপ্যালিটি, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পর্তুগাল শাখা, বাংলাদেশ যুবলীগের পর্তুগাল শাখা, বিএনপির পর্তুগাল শাখাসহ পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন, বরিশাল অ্যাসোসিয়েশন, ফরিদপুর অ্যাসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব ছাড়াও পর্তুগালে বসবাসরত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


বিজ্ঞাপন


Potrugalদিবসটিকে ঘিরে এ দিন আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সভার সূচনা বক্তব্যে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশিদের আত্মত্যাগ ও গৌরবের ইতিহাস তুলে ধরেন।

>> আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

পরে স্থানীয় সান্তা মারিয়া মাইয়র মিউনিসিপ্যালিটির প্রেসিডেন্ট মিগেল কোয়েলহো এই দিনে মাতৃভূমি এবং ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি সৌহার্দ্যতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে পর্তুগালে বাংলাদেশিদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশিরা বর্তমানে পর্তুগিজ সমাজের অনবদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

Portugalএছাড়া আরোইশ মিউনিসিপ্যালিটির প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি লুইস ফ্রাঞ্চিসকো সজা নিজ বক্তব্যে বলেন, মাতৃভাষা জীবন ধারণের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। সেই মাতৃভাষা হরণ করা একটি গর্হিত কাজ। সুতরাং এই দিনে যারা মায়ের ভাষা রক্ষায় প্রতিবাদে জীবন দিয়েছে, একজন পর্তুগিজ হিসেবেও আমাদের দায়িত্ব এই দিনটিকে স্মরণ করা এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এ সময় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের গৌরবান্বিত সময়গুলোকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: কানাডায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ব্যতিক্রমী আয়োজন

সভায় অন্যদের মধ্যে পর্তুগালের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি টিয়াগো মন্তেইরো বাংলাদেশের সঙ্গে পর্তুগালের সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি। তবে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আদান প্রদানে এই সম্পর্ক পাঁচশত বছরের পূর্ব থেকেই। পর্তুগিজ সমাজে বাংলাদেশিরা খুব সুন্দরভাবেই মিশে আছে তাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। এ সময় একুশে ফেব্রুয়ারিতে আত্মত্যাগী ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর