শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের হিরো সাইফুল আজমকে স্মরণ নতুন প্রজন্মের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্ব দেখিয়েছিলেন এক বাংলাদেশি তরুণ পাইলট। আকাশযুদ্ধে চারটি ইসরায়েলি বিমান ধ্বংস করে বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এক বিরল কীর্তির অধিকারী এই বাঙালির নাম সাইফুল আজম। ‘লিভিং ঈগল’ তথা জীবন্ত ঈগল হিসেবে পরিচিত এই বীরকে রাজপথে স্মরণ করল বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম। 

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (০৭ এপ্রিল) সারাবিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসময় সাইফুল আজমের ছবি দেখা যায় নতুন প্রজন্মের হাতে। সগর্বে তারা তুলে ধরল তাদের বীর পূর্বসূরীকে।


বিজ্ঞাপন


যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত মাস থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দফায় দফায় হামলা করে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। গত কয়েক দিন ধরে দেশটির বর্বরতার মাত্রা অতীতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এবার বাংলাদেশেও একযোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশ ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সোমবার দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া সর্বসাধারণ গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ইসরায়েলকে স্মরণ করানো হলো বিমানযুদ্ধে তাদের একসময়ের পরাজয়ের কথা। যেই পরাজয় ও লাঞ্ছনা তাদের এসেছিল বাংলার এক তরুণ পাইলটের বীরত্বে।

488708546_2047022439107375_7811677537836097038_n

সাইফুল আজম ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জর্ডান, ইরাক ও মিশরের পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। মাত্র ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল ওই যুদ্ধ, তবে অসম সাহস আর অনন্য রণনৈপুণ্যের জন্য সাইফুল আজমকে আজও স্মরণ করেন ফিলিস্তিনিরা। 

সাইফুল আজম ১৯৪১ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে অনন্য কৃতিত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সম্মাননা লাভ করেন সাইফুল। তার বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান সরকার তাকে সামরিক খেতাব দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারও তাকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করে। বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই গ্রুপ ক্যাপ্টেন ২০২০ সালের ১৪ জুন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন-

সেসময় ফেসবুকে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফিলিস্তিনের ইতিহাসবিদ ওসামা আল আশকার বলেন, আজম একজন দুর্দান্ত বিমানচালক ছিলেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভাইয়েরা আল-আকসা মসজিদ রক্ষা ও প্রতিরোধে আমাদের সহযোগী ছিলেন।

সেখানকার আরেক অধ্যাপক নাজি শৌকরিও টুইটারে সাইফুল আজমের জন্য প্রার্থনা জানিয়ে লিখেছেন, সাইফুল আজম ফিলিস্তিনকে ভালোবেসেছিলেন এবং জেরুজালেমের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। তার প্রতি স্যালুট। আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করুন তিনি।

সুপরিচিত ফিলিস্তিন সাংবাদিক তামির আল-মিশাল তাকে ‘আকাশের ইগল’ বলে উল্লেখ করেন।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন