শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ছুটির দিনে মেলায় নতুন ২৭৬ বই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ছুটির দিনে মেলায় নতুন ২৭৬ বই

অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিনের সাপ্তাহিক ছুটিতে ২৭৬টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৮২টি কবিতার বই ছাড়াও ৪৪টি উপন্যাস ও ৩৫টি গল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এ দিন সকাল ১১টা থেকে বইমেলা শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলমান ছিল।


বিজ্ঞাপন


কবিতা, গল্প, উপন্যাস ছাড়াও এই সময়ে প্রকাশিত অন্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি প্রবন্ধ, ৮টি গবেষণা ৫টি ছড়াও ৯টি জীবনী। এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১২টি, বিজ্ঞান বিষয়ক ৩টি, ভ্রমণ বিষয়ক ৬টি, ইতিহাস বিষয়ক ৬টি, রাজনীতি বিষয়ক ৮টি, চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৪টি, রম্য বা ধাঁধা বিষয়ক ৩টি, ধর্মীয় ৩টি ও সায়েন্স ফিকশন বিষয়ক ৬টি ছাড়াও অন্যান্য আরও ১৬টি বই প্রকাশ হয়েছে।

Book Fairএদিকে, অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিনে নিজেদের বই নিয়ে ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন মাসুদুজ্জামান, ভাগ্যধন বড়ুয়া, ম্যারিনা নাসরিন এবং ইউসুফ মুহম্মদ। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন ফরিদ আহমদ দুলাল, ফেরদৌস নাহার, তপন বাগচী, জাহিদ মুস্তাফা, আফরোজা সোমা এবং আশরাফ জুয়েল। আর আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত, রুবিনা আজাদ এবং মো. শওকত আলী।

এছাড়াও ১৭তম দিনে ছিল ফরিদ আহমদ দুলাল রচিত এবং নাট্যাঙ্গন নাট্যপরিবার নিবেদিত নাটক ‘উন্মোচন রহস্য’ এবং রুবিনা আজাদের পরিচালনায় ‘উদয় দিগঙ্গন’- এর শিল্পীদের পরিবেশনা।

>> আরও পড়ুন: সরানো হলো ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ


বিজ্ঞাপন


এর আগে সকাল ১০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘ক’ শাখায় প্রথম হয়েছেন আরোহী বর্ণমালা, দ্বিতীয় হয়েছেন অংকিতা সাহা রুদ্র এবং তৃতীয় হয়েছেন জুমানা হোসেন। পাশাপাশি ‘খ’ শাখায় প্রথম হয়েছেন সমৃদ্ধি সূচনা স্বর্গ, দ্বিতীয় হয়েছেন আনিশা আমিন এবং তৃতীয় হয়েছেন অদ্রিতা ভদ্র এবং ‘গ’ শাখায় প্রথম হয়েছেন আদিবা সুলতানা, দ্বিতীয় হয়েছেন তাজকিয়া তাহরীম শাশা এবং তৃতীয় হয়েছেন সিমরিন শাহিন রূপকথা। আর প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আবৃত্তিশিল্পী জনাব গোলাম সারোয়ার, জনাব দেওয়ান সাঈদুল হাসান এবং ড. শাহদাৎ হোসেন নিপু। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী প্রজ্ঞা লাবণী।

Book Fairপরে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্-এর জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহীবুল আজিজ। সৈয়দ আকরম হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আলোচনায় অংশ নেন অনিরুদ্ধ কাহালি ও মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন।

অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিকরা বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ তার সমকালীন জাতীয়তাবাদী ঔপন্যাসিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। যে তিনটি প্রধান উপন্যাস তিনি রেখে গেছেন সেগুলোর মুখ্য অন্বেষা দেশ, দেশের সামগ্রিক চিত্র এবং পারিবারিক-সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির সূত্রের বিশ্লেষণ। শুধু তাই নয়, এমন উপন্যাসও তার রয়েছে, যেখানে পাওয়া যায় দৈশিক বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিশদ চিত্র। ওয়ালীউল্লাহ উপন্যাসের চরিত্র, সংলাপ, কাহিনি এবং বর্ণনার অন্তরালে নিহিত থাকে অন্তর্বাস্তবের এমন ইঙ্গিত যা কখনও প্রত্যক্ষ এবং কখনও প্রতীকী।

>> আরও পড়ুন: কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

আলোচকরা আরও বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তার সমকালীন সমাজচিত্র ও মানবচরিত্রকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। তাই মানবজীবনের অনিশ্চয়তা, ভয়, অস্তিত্বের সংকট সবকিছুই তার রচনায় মূর্ত হয়ে উঠেছে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বর্ণনাশৈলী ও ভাষা উপস্থাপনা বিশেষভাবেই স্বতন্ত্র। বাংলা সাহিত্যের গল্প, উপন্যাস ও নাটক প্রতিটি ক্ষেত্রেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সৃষ্টিকর্ম যেমন ক্রমান্বয়ে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, তেমনি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ হয়ে উঠছেন আরও বেশি সমসাময়িক।

এছাড়া সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আকরম হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর সাহিত্যকে বিচার করা এখন সময়ের দাবি। তার সাহিত্য-বিশ্লেষণে তত্ত্বের শৈল্পিক ও নান্দনিক ব্যবহারের দিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

এমএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর