বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শুক্রবার মানেই ভিন্ন এক বইমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

শুক্রবার মানেই ভিন্ন এক বইমেলা

চলছে অমর একুশে বইমেলা। উদ্বোধনের পর আজ দ্বিতীয় শুক্রবার। ছুটির দিনে ভিন্ন এক রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে প্রাণের এই মেলা। পাঠক, লেখকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। বিক্রেতারা বলছেন, ছুটির দিনে বিক্রিও বেড়েছে বেশ।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই শিশুদের পদচারণায় মুখর ছিল বইমেলার চারপাশ। বিকেল গড়াতেই সেই ভিড় দ্বিগুণ হতে থাকে। পরিবার, বন্ধু, স্বজনদের সাথে মেলায় আসতে শুরু করেন বইপ্রেমীরা। মেলায় আসার সুন্দর সময়টাকে মুঠোফোনে বন্দি করতেও দেখা যায় অনেককেই।


বিজ্ঞাপন


বিকেলে দেখা যায় মেলায় প্রবেশ পথগুলোতে সারি দিয়ে প্রবেশ করছেন মানুষ। অনেকেই কিনছেন বই। তেমনি একজন সোহেলী আক্তার। 

মেলার বিষয়ে সোহেলী আক্তার বলেন, অন্যদিন আসার সুযোগ হয় না। তাই শুক্রবারে আসা। আমি ছয়টি বই সংগ্রহ করেছি। আরও কিছু হয়ত কিনব। 

book

তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবার বইমেলার একই সমস্যা। অত্যাধিক মাত্রায় ধুলা। এটার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া জরুরি। 


বিজ্ঞাপন


সালেকিন আহমেদ নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, আজ থেকে বলা যায় বইমেলা জমে উঠেছে। গত এক সপ্তাহে যা বই বিক্রি হয়েছে তার থেকে আজ বেশি বই বিক্রি হয়েছে। আশা করছি শুক্রবারের পরেও বিক্রি বাড়বে।

এদিন বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে ছিল ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : কবীর চৌধুরী’ এবং ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : সাংবাদিক-সাহিত্যিক জহুর হোসেন চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবদুস সেলিম ও জাহীদ রেজা নূর। আলোচনায় অংশ নেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, খায়রুল আলম সবুজ, মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মুস্তাফিজ শফি। সভাপতিত্ব করেন শফি আহমেদ।

এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মালেক মাহমুদ, সুপা সাদিয়া, খান মুহাম্মদ রুমেল, গিরীশ গৈরিক প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বিমল গুহ, স্নিগ্ধা বাউল এবং রমজান মাহমুদ। 

আবৃত্তি করেন রাজিয়া রহমান, জাহান বশির ও এএসএম সামিউল ইসলাম। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া, আবদুর রহমান, বশির উদ্দিন সরকার, সুভাষ বিশ্বাস, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, নূরুল ইসলাম, বিমল বাউল, সুধীর মণ্ডল ও অমিয় বাউল।

book

আজ মেলার নবম দিনে নতুন বই এসেছে ১২৩টি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মৌলি আজাদের ‘ইগলের চোখ’ (আগামী); সৈয়দ শামসুল হক অনূদিত টেড হিউজের ‘দ্য কামিং অব দ্য কিংস’ (ঐতিহ্য); তরুণ ইউসুফের ‘শেরে বাংলা ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন : কিছু দুষ্প্রাপ্য দলিল’ (ঐতিহ্য)।

উল্লেখযোগ্য আরও কয়েটি বইয়ের মধ্যে রয়েছে, আবদুল মান্নান সৈয়দের প্রবন্ধ ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলমান’ (অবসর); রফিকুর রশীদের গল্পগ্রন্থ ‘শেখ মুজিব শেখ রাসেল ছেলেবেলার গল্প’ (আগামী প্রকাশনী); মোনায়েম সরকার সম্পাদিত ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’ (আগামী); ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের প্রবন্ধ ‘বঙ্গবন্ধু-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতি’ (আগামী); আনোয়ারা সৈয়দ হকের ভ্রমণবিষয়ক বই ‘দেখে এলাম মিশর ও মরক্কো’ (ঐতিহ্য); ইমরান মাহফুজের কবিতার বই ‘মুখোশপরা পাঠশালা’ (ঐতিহ্য); শামীমা চৌধুরীর ছোটগল্প ‘ভেসে যায় বেহুলার ভেলা’ (শিল্পতরু প্রকাশনা); মুহম্মদ নূরুল হুদার কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমের কবিতা’ (সময়); লুৎফর রহমান রিটনের ‘ফেল্টুস! চড় খাবি’ (কিন্ডার বুকস); বাবুল আনোয়ারের ‘ভালোবাসার কবিতা’ (পুঁথিনিলয়) এবং নম্রতা সাহার গল্পগ্রন্থ ‘অপরাজিতা’ (অন্যধারা)।

পিএস/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর