শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বইমেলায় লেখক-প্রকাশকের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বইমেলায় লেখক-প্রকাশকের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

একদিন পর শুরু হতে যাওয়া অমর একুশে বইমেলায় কোনো লেখক-প্রকাশকের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বইমেলায় লেখক-প্রকাশকরা কোনো ধরনের হুমকি মনে করলে তা পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, পুলিশকে জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে বইমেলায় নিরাপত্তার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

DMP-3

গোলাম ফারুক বলেন, বইমেলায় কোনো ধরনের নিরাপত্তার হুমকি নেই, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।

বইমেলায় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীরা যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি মনে না করেন তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বইমেলায় নিরাপত্তায় থাকবে দেড় হাজার পুলিশ

বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের ব্যবস্থার পাশাপাশি আমরা সিসি ক্যামেরাগুলোকে বিস্তৃত করেছি যাতে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

গোলাম ফারুক বলেন, করোনার পর গত বইমেলাগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড় কম ছিল। কিন্তু এবার দর্শনার্থী বেশি হবে এই আশঙ্কায় সেভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এই মেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের প্রায় ১৫০০ ফোর্স থাকবে।’

বইমেলায় তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন অতীতে বইমেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে সেজন্য আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। প্রথম হলো বইমেলার প্রতিটি স্তরে সামনে আমাদের ফোর্স থাকবে। এছাড়াও বইমেলায় আগতদের নিরাপত্তার জন্য মোটরসাইকেল ও সাইকেল পেট্রোল থাকবে। বইমেলাতে আমাদের স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। সার্বিক নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে যেখানে আমাদের পুলিশের সিনিয়র সদস্যরা বিভিন্ন কর্মকর্তা থাকবেন।’

DMP-2

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘বইমেলায় যাতে দর্শনার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি। বাংলা একাডেমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য গেট থাকবে। এসব গেটে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের কাছে আর্চওয়ে হয়ে থাকবে। এসব দিয়ে তারা আগতদের দেহ তল্লাশি করবেন। তবে ছুটি বা বন্ধের দিনগুলোতে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে এ কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটসহ টিএসসি এলাকার গেট খোলা রাখা হবে।’ এই দিনগুলোতে টিএসসি বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট এড়িয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে মেলায় আগতদের প্রবেশের অনুরোধ করেন তিনি।

এমআইকে/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর