বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

না কিনে বই পড়া ও শোনার সুযোগ ‘বইচিত্রে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

না কিনে বই পড়া ও শোনার সুযোগ ‘বইচিত্রে’

আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্যবৃদ্ধির ফলে এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের দাম বেশ চড়া। তাই আশানুরূপ বিক্রি বা পছন্দের বই কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের৷ তবে টাকা দিয়ে না কিনেও পছন্দের বই পড়ার সুযোগ দিচ্ছে 'বইচিত্র' (Boichito)। গুগল প্লে স্টোর থেকে মোবাইলে অ্যাপস ইন্সস্টল করলেই মিলবে বই পড়ার দারুণ এই সুযোগ। 

মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে আপাতত ১৯টি বই বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ রয়েছে বইচিত্র। 


বিজ্ঞাপন


এবারের বই মেলায় বাংলা একাডেমি চত্বরে অবস্থিত স্টলে গেলে যে কেউ ফ্রি এই অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিতে পারছেন। স্টলে থাকা কর্মীরা অ্যাপসটি ইন্সটল করে দেওয়ার পর তখন থেকেই বইগুলো পড়ার সুযোগ মিলছে। এমনকি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য অডিও শোনারও সুযোগ আছে।

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেড।

বইচিত্রের স্টলের কর্মী রাকিবুজ্জামান মাসুদ ঢাকা মেইলকে বলেন, অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন শতাধিক মানুষ অ্যাপসটি ইন্সটল করছে। তবে বেশিরভাগই তরুণ। 

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বইচিত্র জাতীয় পর্যায়ের বাংলাদেশি বুক আর্কাইভ অ্যাপ। ডিজিটাল লাইব্রেরি ফরম্যাটে এই আর্কাইভটি তৈরি করা হয়েছে। এই আর্কাইভে থাকছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, সাহিত্য সমালোচনা এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বই। কেবল টেক্সট ফরম্যাটে নয়, এই আর্কাইভে থাকছে অডিও বুক। সেই সঙ্গে সাহিত্য বিষয়ে যে সকল চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে সেই সকল চলচ্চিত্র এই আর্কাইভে সন্নিবেশিত থাকছে। থাকছে সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা এবং ব্লগিং।


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও বইচিত্রে প্রতিটি প্রকাশনা বিষয়ে এবং লেখক সম্পর্কে নোট থাকছে। পাঠক খুব সহজেই প্রকাশনা বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন এই আর্কাইভ থেকে। এছাড়া বইচিত্রে অন্যান্য বইভিত্তিক অ্যাপ, ওয়েবসাইট, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের লিঙ্ক থাকছে। পাঠকরা বইচিত্র মোবাইল অ্যাপটি প্রকাশনা বিষয়ক একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল হাব হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

জানা গেছে, ছয় মাস ধরে অ্যাপসটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সামনে একাডেমিক বইগুলোও এতে সন্নিবেশিত করার পরিকল্পনা আছে।

স্টলের দায়িত্বে থাকা মাকসুদা আফরোজা ছোঁয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘খুবই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে সবকিছু প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে এটা তারই প্রমাণ। যাদের বই পড়ার অভ্যাস তাদের জন্য এটি চমৎকার উদ্যোগ। আশা করি মেলার বাকি সময়টাতে আরও মানুষের আগ্রহ বাড়বে।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর