বিকেল থেকেই অমর একুশে বইমেলায় দর্শনার্থীদের ঢল দেখা গিয়েছে। মানুষ সিরিয়াল দিয়ে ঢুকছেন মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় আসা স্মৃতি ধরে রাখতে নিচ্ছেন সেলফি, তুলছেন ছবি। বই দেখছেন অনেকেই, কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।
বেলা তিনটায় শুরু হয় বইমেলা। বিকেল হতেই বাড়তে থাকে লোকসমাগম। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটা থেকে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় বাড়তে থাকলেও বই ক্রেতা খুবই কম। অনেকেই এসেছেন দলবেঁধে, কেউ কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ আবার পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে। ছোট বাচ্চাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিজ্ঞাপন

প্রবেশ গেটে বিকেল থেকেই লক্ষ্য করা যায় ভিড় করে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। সিরাজুম মনিরা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পুরো মেলা ঘুরে বই পছন্দ করছি। শেষের দিকে কয়েকটা বই কিনব।
ছোট ইলমা রহমান এসেছে বাবা মায়ের সাথে। মেলায় ঘুরতে আসা প্রসঙ্গে ইলমা বলে, বই দেখছি। কার্টুনের একটা বই কিনব।
বিভিন্ন স্টল থেকে সাতটি বই কিনেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহ। তিনি বলেন, আমি সাধারণত গবেষণাধর্মী বই পছন্দ করি। এমন কিছুই সংগ্রহ করলাম। তবে এবারের বইমেলায় এখনও সেভাবে নতুন বই আসেনি। শেষের দিকে আরেকবার আসার ইচ্ছা আছে।
বিজ্ঞাপন
বই কম বিক্রি প্রসঙ্গে অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী আলিয়া জাহান বলেন, দর্শনার্থীরা দশজন বই দেখলে কিনছেন একজন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মেলার শেষের দিকে বই বিক্রি বাড়বে।

বইমেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্য খেলার আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে। শিশুরা এসব স্থানে খেলায় মেতে উঠেছে। আসমাহুল হুসনা বলেন, ছেলের বয়স ৪ বছর। বইমেলা দেখাতে আসলাম। দুইটা কার্টুন বই কিনে দিয়েছি। এখন খেলায় মগ্ন।
তথ্যানুযায়ী আজ বইমেলায় নতুন বই এসেছে ১০৪টি। এখন পর্যন্ত মোট নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ৫২৮টির।
পিএস/এমএইচএম













































































