শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মেলার ১৬তম দিনে ৮৩টি নতুন বই প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মেলার ১৬তম দিনে ৮৩টি নতুন বই প্রকাশ
ফাইল ছবি

অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিনে ৮৩টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৩৩টি কবিতার বই ছাড়াও ১৮টি গল্প ও সাতটি উপন্যাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এদিন দুপুর ৩টা থেকে বইমেলা শুরু হয়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। 


বিজ্ঞাপন


কবিতা, গল্প, উপন্যাস ছাড়াও এই সময়ে প্রকাশিত অন্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ২টি প্রবন্ধ, ৩টি গবেষণা, ও ৫টি জীবনী। এছাড়া বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দুইটি, বিজ্ঞান বিষয়ক ৩টি, ইতিহাস বিষয়ক একটি, অবিধান বিষয়ক একটি ও সায়েন্স ফিকশন বিষয়ক একটি ছাড়াও অন্যান্য আরও দুইটি বই প্রকাশ হয়েছে। 

এদিকে, অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিনে নিজেদের বই নিয়ে ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ইসরাইল খান, মাসুম রেজা, রিপন আহসান ঋতু এবং জুনান নাশিত প্রমুখ। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন আমিনুর রহমান সুলতান, আয়শা ঝর্না, শিহাব শাহরিয়ার, অংকিতা আহমেদ রুবি, ফরিদুজ্জামান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, জেসমিন বন্যা, নূরুননবী শান্ত।  

এছাড়াও সিরাজুল মোস্তফার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাইজভান্ডারী মরমী গোষ্ঠী’ এবং মো. আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন ফরিদা পারভীন, সেলিম চৌধুরী, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শ্যামল কুমার পাল, সনৎ কুমার বিশ্বাস, মেহেরুন আশরাফ, বাবু সরকার এবং মো. আরিফুর রহমান। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত (তবলা), রবিন্স চৌধুরী (কি-বোর্ড), গাজী আব্দুল হাকিম (বাঁশি), শেখ জালাল উদ্দীন (সেতার)।  

এদিনে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকেন্দ্রীকরণ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফরিদ আহমদ দুলাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাহমুদ কামাল, নজিবুল ইসলাম এবং সাজ্জাদ আহসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনীক মাহমুদ। 


বিজ্ঞাপন


প্রাবন্ধিক বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে অর্থবহ করে তোলা যেমন জরুরি, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবনে সাংস্কৃতিক মুক্তি নিশ্চিত করাটাও অপরিহার্য। সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রের সকল স্তরে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রাকে সমন্বয় করতে হবে। দেশের মাঠপর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়, কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে চিন্তা ও আকাঙ্খার স্বপ্নটি এবং সেখানেই বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকেন্দ্রীকরণের সৌন্দর্য লুকায়িত। ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকেন্দ্রীকরণ তখনই অর্থবহ হবে, যখন লোকবাংলার শুভ প্রবণতার চেতনা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে লোকমানস থেকে নীতিনির্ধারকদের কাছে। 

আলোচকরা বলেন, বিকেন্দ্রীকরণের একটি রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক দিক আছে। ভাষাগত দ্বাম্ভিকতার মতো বিষয়গুলো সমাধান করার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি। ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকেন্দ্রীকরণের জন্য দেশব্যাপী বিদ্যমান সাংস্কৃতিক অবকাঠামোগুলোকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সামাজিক বিভেদের বদলে সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা ভাষা ও সংস্কৃতি বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম পূর্বশর্ত।  

সভাপতির বক্তব্যে অনীক মাহমুদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে জাতির মূল শক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতিই একটি জাতির মূল শক্তি। সাংস্কৃতিক চর্চাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রান্তের মানুষদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব।  

এমএইচ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর