রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে সংঘর্ষের সময় নাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করতে দেখা গিয়েছিল হেলমেটধারী এক তরুণকে। তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনাক্ত হওয়া হেলমেটধারী ওই তরুণ ঢাকা কলেজ আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্র বাশার ইমন। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইমনকে গ্রেফতার করতে আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসে অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে চাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল সংঘর্ষের ঘটনায় ইমন ছাড়াও শাহাদাৎ হোসেন নামে এক হেলমেটধারীকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। তাকে সেদিন স্টিলের পাইপ হাতে হামলা ও সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। স্নাতক (সম্মান) অর্থনীতি বিভাগের এ শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী। উত্তর ছাত্রাবাসের আবাসিক এই ছাত্রের বাড়ি নেত্রকোনায়।
শাহাদাৎ ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আর বাশার ইমন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ ওরফে জুলফিকারের অনুসারী।
জানা গেছে, ইমন এবং শাহাদাৎ বাদে শনাক্ত হওয়া বাকি চারজন হলেন কাইয়ুম, সুজন সরকার, শাহীন সাদেক মীর্জা ও কাউসার হামিদ ওরফে সাদা কাউসার। এর মধ্যে শাহীন কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত হওয়া আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। কাইয়ুম, সুজন আর ইমন কুরিয়ারকর্মী নাহিদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ধারালো অস্ত্রধারী ছয়জনকে শনাক্ত করার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ধারালো অস্ত্রধারী ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় আরও যারা জড়িত, তাদের সবাইকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
/এএস