সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রাস্তাতেই ইফতার সারল পুলিশ ও সাংবাদিক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৮:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

রাস্তাতেই ইফতার সারল পুলিশ ও সাংবাদিক
রাস্তাতেই ইফতার সারল পুলিশ ও সাংবাদিক | ছবি: ঢাকা মেইল

থমথমে পরিস্থিতির মাঝে সকাল থেকেই ডিউটি করছিল ক্লান্ত পুলিশ সদস্যরা। পরে অবস্থান নেন চন্দ্রমা সুপার মার্কেটের বিপরীত পাশে। আর বড় বড় কর্মকর্তারা চেয়ার-বেঞ্চে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কারণ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে মাঝে-মাঝেই বেরিয়ে আসছিল। ফলে কোনোভাবে মাঠ ছাড়েনি পুলিশ। এদিকে, ঘনিয়ে আসছিল ইফতারের সময়ও। এমতাবস্থায় ইফতারের সময় হলে রাস্তাতেই তা সেরে নেন নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

তারা যখন ইফতারের জন্য প্যাকেট ভাগাভাগি করছিল, সে সময় তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল সংবাদ কর্মীরাও। একপর্যায়ে মাগরিবের আজান দিতেই চেয়ার থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে ইফতারের জন্য নিজের হাতের ইফতারের প্যাকেট কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন পুলিশের ঢাকা মহানগর রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান।


বিজ্ঞাপন


এর আগে কয়েকজন সাংবাদিক পুলিশের ইফতারের প্যাকেট বিতরণ ও প্রস্তুতির ছবি তোলার চেষ্টা করলে এক পুলিশ সদস্য বাধা দেন। সে সময় বাধা দেওয়ার বিষয়টি নজরে এলে ডিসি সাজ্জাদুর বলে ওঠেন, ‘তারা (সাংবাদিকরা) তো ভালোর জন্যই ছবি তুলছে। বিষয়টিকে পজিটিভলি নাও।’

Newmarket

এদিকে, ইফতারের সময় ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের অনেককে দাঁড়িয়ে, আবার কাউকে বসে কিংবা রাস্তার মাঝেই ইফতার সারতে দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, তারা সকাল ৮টার পরপরই ঘটনাস্থলে এসেছেন। নিয়মিত ডিউটির আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু তাদের ডিউটি শেষ হয়নি। আর বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যই ছিলেন রোজারত অবস্থায়।

রোজা রাখা অবস্থাতেই পুলিশ সদস্যরা সারাদিন ডিউটি করেছেন। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে থেকে কাজ করেছেন। আর সারাদিন দফায় দফায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের এখন অনেকটাই ক্লান্ত দেখাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


ক্লান্তির বিষয়টি স্বীকারও করলেন ডিসি সাজ্জাদুর রহমান। কতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, আসলে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়নি। তবে তারা সারাদিন ডিউটি করাসহ এই অবস্থা সামাল দিতে অনেকটাই ক্লান্ত।

অপর এক পুলিশ সদস্য বলেন, আজ শুধু নয়, প্রায়সময় এমন ঘটনাগুলোতে ডিউটি পরলে আমাদের মাঠেই ইফতার-সেহরি সারতে হয়। অনেকে ভাবে পুলিশ শুধু বেতন নেয়, কিন্তু মাঠে কাজ করা যে কত কষ্ট তা যারা থাকে, তারাই বুঝে ও জানে। তবে ভালো লাগছে আমাদের স্যাররাও ইফতার করছে।

এমআইকে/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর