বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সম্মেলনের আগে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৩২ এএম

শেয়ার করুন:

সম্মেলনের আগে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের তৃণমূল

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এর আগেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলার সম্মেলনও করছে ক্ষমতাসীন দল। এসব সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এখন তৃণমূল আওয়ামী লীগ বেশ উজ্জীবিত। নেতাকর্মীদের এই সক্রিয়তা ধরে রেখে আগামী নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চায় আওয়ামী লীগ।

গত ২৪ নভেম্বর যশোরে জনসভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির পর এটাই দলীয় বড় কোনো জনসভা। সেখানে দলীয় প্রধান আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট চান। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বড় একটি সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এছাড়া নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এসব সম্মেলনে সারাদেশ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দলীয়প্রধানের বক্তব্যে তারা দিকনির্দেশনা পেয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরই থাকছেন?

গত কয়েক দিন ধরে দেশের কোথাও না কোথাও আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। কোনো কোনো দিন একাধিক জেলায়ও সম্মেলন হচ্ছে। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দিচ্ছেন।

ll2

সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কোথাও আসছে নতুন কমিটি। কোথাও আগের কমিটিই বহাল থাকছে। নেতৃত্ব যাই হোক না কেন, এই সম্মেলন তৃণমূল আওয়ামী লীগকে উজ্জীবিত করছে। সম্মেলনস্থলের জনসমাগমই সেটা বলে দেয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া বার্তা আগামী দিনে চলতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরাও নিজ নিজ সাংগঠনিক বিভাগে যাতায়াত বাড়িয়েছেন। সম্মেলন, কমিটি গঠন, বর্ধিত সভা থেকে শুরু সব ধরনের সাংগঠনিক কাজের গতি তুলনামূলক বেড়েছে।

আরও পড়ুন: সম্মেলন হয়, পাল্টায় না নেতা

বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে তারা যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। সম্মেলন ছাড়াও নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন। জেলায় জেলায় গিয়ে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরাও। এর মধ্যে আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে। সংসদ সদস্য বা মন্ত্রিপরিষদে না থাকায় তারা পুরো মনোযোগ দলীয় কাজে ব্যয় করতে পারছেন।

এর মাধ্যমে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কতটা উজ্জীবিত জানতে চাইলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, 'তৃণমূল যে কতটা উজ্জীবিত তা ভাষায় বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি, যেকোনো সংকট, ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।'

ll1

আরও পড়ুন: আ.লীগের তিন সংগঠনের সম্মেলন, ‘সালাম’ বেড়েছে নেতাদের

২০২৪ সালের শুরুতেই দেশে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসেবে প্রায় এক বছরের মতো সময় আছে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে। প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে দলে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতও বেড়েছে। এসব সামাল দিয়ে দলকে সুসংহত করে আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণই আওয়ামী লীগের প্রধান টার্গেট। আর এর জন্য তৃণমূলকে উজ্জীবিত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন নেতারা।

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর