পুরো কমিটির মতো আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। মোট ১৭ জনের সভাপতিমণ্ডলীর মধ্যে ১৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এই পদের আগের কমিটির নেতাদের মধ্য থেকে তিনজনকে বাদ দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় উপদেষ্টামণ্ডলীর তালিকায়।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সভাপতিমণ্ডলীতে আছেন- বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জি. মোশারফ হোসেন এমপি, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, শাজাহান খান এমপি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম এমপি, সিমিন হোসেন রিমি।
নতুনভাবে সভাপতিমণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছেন মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে ছিলেন।
সভাপতিমণ্ডলী থেকে বাদ পড়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশ চন্দ্র সেন এবং অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান।
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আগের চারজনই বহাল আছেন। তারা হলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম। তারা চারজনই বর্তমান সংসদ সদস্য। এর মধ্যে ডা. দীপু মনি শিক্ষা এবং ড. হাছান মাহমুদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস. এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সুজিত রায় নন্দী।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত দলটিকে প্রাথমিকভাবে ঢাকার ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পরে দলটিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ধর্মনিরপেক্ষ করার জন্য ১৯৫৫ সালে তৃতীয় কাউন্সিলের সময় 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে শেখ হাসিনা দশমবার দলটির সভাপতির দায়িত্ব পেলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারবার এবং আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ তিনবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু পাঁচবার, তাজউদ্দীন আহমদ চার বার, জিল্লুর রহমান ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তিন বার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুই বার করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আর ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন।
বিইউ/জেবি
















































































