বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

সম্মেলন হয়, পাল্টায় না নেতা

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৮ এএম

শেয়ার করুন:

সম্মেলন হয়, পাল্টায় না নেতা

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর। তার আগেই শেষ করতে হবে ক্ষমতাসীন এই দলটির বিভিন্ন জেলার সম্মেলন। ফলে একের পর এক জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সম্মেলনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত নতুন নেতৃত্ব আসছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল পদগুলোতে আগের নেতৃত্বই থেকে যাচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মনে করে- সম্মেলন মানেই নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ৬টি জেলার সম্মেলনের দিকে তাকালে দেখা যায়- বরগুনা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের কোনোটিতেই পরিবর্তন আসেনি। শুধুমাত্র ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন এসেছে। যদিও সভাপতি পদে আগের ব্যক্তিই রয়ে গেছেন।


বিজ্ঞাপন


৩০ বছরেও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন আসেনি। ৮ বছর পর বুধবার (১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে টানা ৮ম বারের মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও জাহাঙ্গীর কবির। ১৯৯২ সাল থেকেই বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও জাহাঙ্গীর কবির।

আরও পড়ুন: সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে মহিলা আ.লীগে ‘বিভক্তি’!

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ নভেম্বর। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আরফানুল হক রিফাত। তারা দুজনই গত মেয়াদে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ অক্টোবর। বর্ণাঢ্য ও জনস্রোতের সে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন বেনজীর আহমদ। পরিবর্তন এসেছে সাধারণ সম্পাদক পদে। পদ পেয়েছেন পনিরুজ্জামান তরুণ। তিনি এর আগে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পাঁচদিন আগে ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে পুরনো দুজনই আবারও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন। অর্থাৎ সভাপতি হন আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক হন আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল।

আরও পড়ুন: আ.লীগের তিন সংগঠনের সম্মেলন, ‘সালাম’ বেড়েছে নেতাদের

অন্যদিকে সাত বছর পর গত ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও আসেনি নেতৃত্বের পরিবর্তন। সভাপতি পদে ফজলুর রহমান খান ওরফে ফারুক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম আবারও দায়িত্ব পেয়েছেন।

একই চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়৷ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও। গত ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আবারও সভাপতি হন সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী এবং আবারও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, সম্মেলন অর্থ নেতৃত্বের পরিবর্তন না। সম্মেলন লক্ষ্য হচ্ছে দলকে গতিশীল করা৷

আরও পড়ুন: ‘বোনাস টাইম’ কাটাচ্ছেন তারা

কামাল হোসেন বলেন, সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি যে অপপ্রচার, মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে, সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া।

আওয়ামী লীগ এখন সাংগঠনিকভাবে কতটা শক্তিশালী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সবসময়ই। বরং এখন আরও বেশি শক্তিশালী।

কারই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর