একদিন বাদেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন। আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণভাবে না হলেও প্রতিবারের মতো সম্মেলনে নতুন চমক থাকার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। ইতোমধ্যেই উন্নয়ন চিত্রে প্রস্তুত করা হয়েছে সম্মেলন মঞ্চও। সেই সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসছেন রাজধানীতে। আর যারা এখনো আসেননি তারাও হোটেলগুলোতে অগ্রিম সিট বুকিং করে রেখেছেন। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে বর্তমানে রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোয় কোনো সিট খালি মিলছে না।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন এলাকার আবাসিক হোটেলের কর্তৃপক্ষ ছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্যই জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আর এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। তাই দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসা শুরু করেছেন।
জানা গেছে, সম্মেলন সফল করতে চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ১০১ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশগ্রহণ করবেন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে ১২৯ জন কাউন্সিলর ও ২৫৮ জন ডেলিগেট, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা থেকে ১১৯ জন কাউন্সিলর ও ২৩৮ জন ডেলিগেট এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা থেকে ১১৯ জন কাউন্সিলর ও ২৩৮ জন ডেলিগেট সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা থেকে দুই হাজার করে ও উত্তর জেলা থেকে এক হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নেতারা ইতোমধ্যেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। আর বাকিরাও আবাসিক হোটেলে বুকিং দিয়ে রেখেছেন। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই সবাই ঢাকায় আসবেন বলে দলীয় সূত্র জানা গেছে।
একইভাবে সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনাসহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সদর থেকে নেতাকর্মীরা এই সম্মেলনে উপস্থিত হবেন। সবমিলিয়ে তাই রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোয় এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
রাজধানীর গুলিস্তান, ফার্মগেট, পল্টন, ফকিরাপুল, বংশাল, মতিঝিল, যাত্রাবড়ী, শাহবাগ, রমনা, মগবাজার, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। তাদের ভাষ্য- আগামী শনিবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তাই গত এক সপ্তাহ আগ থেকে হোটেল বুকিং দিয়েছেন অনেকেই। এমনকি ইতোমধ্যেই অনেকে চলেও এসেছেন। সবমিলিয়ে এখন হোটেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
বিজ্ঞাপন
কারওয়ান বাজারের হোটেল সুপার স্টার লিমিটেডের ম্যানেজার শামীম আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের হোটেলে কোনো সিট খালি নেই। আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সব সিট ভরে গেছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের আগে কোনো সিট পাওয়া যাবে না।
একই কথা জানিয়েছেন ফার্মগেট এলাকাস্থ হোটেল ফার্মগেটের ম্যানেজার উজ্জ্বল। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, গত দুইদিন আগে আমাদের হোটেলে সব সিট ফিলাপ হয়ে গেছে। সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিট নেই।
এদিকে, আবাসিক হোটেলে সিট খালি না থাকায় সম্মেলনে যোগ দিতে আসা অনেকেই বিকল্প হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে উঠেছেন। সেখান থেকেই তারা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কথা হলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমি ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করেছি। আমাদের সিলেট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই আবাসিক হোটেলে উঠবেন। তবে আমি আত্মীয়ের বাসায় আছি।
কেআর/আইএইচ