শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নির্বাচনে নৌকা ‘ভাড়া’ না দেওয়ার আকুতি তৃণমূলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

নির্বাচনে নৌকা ‘ভাড়া’ না দেওয়ার আকুতি তৃণমূলের

দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে ‍তৃণমূলের নেতারা আগামী দিনে নির্বাচনে যোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়া, দলীয় প্রতীক নৌকা যেন শরিকদের দেওয়া না হয়- এমন দাবি জানিয়েছেন। সংগঠন শক্তিশালী করতে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগীদের পদ দেওয়ার কথাও বলেছেন এসব নেতা। অধিবেশনে দলের প্রতি নিজেদের আস্থার কথাও জানিয়েছেন জেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা।

দ্বিতীয় অধিবেশনে সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে যে কমিটি আসবে, সেই কমিটির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’


বিজ্ঞাপন


সাবেক এই এমপি বলেন, ‘সারাদেশে উন্নয়ন চলছে। কিন্তু সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকা উন্নয়ন থেকে পেছনে আছে। কারণ আমাদের দলীয় এমপি নাই। এজন্য করজোড়ে অনুরোধ করছি, আগামী নির্বাচনে নৌকাকে যেন ভাড়া দেওয়া না হয়। নৌকার প্রার্থী আমরা চাই। যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করবো।’

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে প্রত্যেক বিভাগ থেকে একজন করে নেতা বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল থেকে ঢাকায় এসেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এদের মধ্যে প্রথম অধিবেশনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট সবাই অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও বিশেষ অধিবেশনে শুধু কাউন্সিলররা যোগ দেন। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে নেতারা নিজেদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন দলীয় সভাপতির কাছে।

এই পর্যায়ে প্রথমেই রংপুর বিভাগ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কোরাইশীকে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন


বক্তব্যে সাদেক কোরাইশী গত নির্বাচনের আগে ঠাকুরগাঁও জেলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যেসব ওয়াদা করেছিলেন, তার সব প্রতিশ্রুতি আগামী নির্বাচনের আগে পূরণ করার আহ্বান জানান।

আগামী নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাদেক কোরাইশী।

ggg

রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ‘অনেকে দল বিক্রি করে খান’ বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে দল বুকে লালন করছি, অনেকে দল বিক্রি করে খাচ্ছি। আগামীতে নির্বাচনে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে মনোনয়ন দিলে যতই মিথ্যাচার হোক, আপনার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তৃণমূল পর্যায়ে সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। সবাই মিলে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে আমাদের জয় নিশ্চিত হবে।’

আর খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ বোস বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই।’

আর বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ‘মাননীয় নেত্রী আপনার বিকল্প আপনি নিজেই। পটুয়াখালী এখন আর খালি নেই, পটুয়াখালী ভরা। পটুয়াখালীর চারটি আসন আপনার নিজের।’

মাঠপর্যায়ে যারা রাজনীতি করেন, তাদের মধ্যে থেকে যেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এই দেশ আমার গর্ব, এ মাটি সোনা। শেখ হাসিনা ছাড়া বাঙালির বিকল্প নেই।’

ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, ‘দেশি-বিদেশি চক্রান্ত যারা করে তাদের প্রচার সেল এত শক্ত, আমাদের প্রচার সেল এত শক্ত নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন যদি আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার করতে পারি, তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।’

জানা গেছে, বিভাগ থেকে নেতাদের বক্তব্যের পর কাউন্সিলরদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। এই বৈঠক শুরুর আগে রাস্তায় বসানো মাইকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিইউ/জেবি

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর