শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘আইএমএফকে খুশি করতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২২, ১১:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

‘আইএমএফকে খুশি করতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি’
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) এড়িয়ে চোরাগোপ্তা কায়দায় আইএমএফকে খুশি করতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

রোববার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


হঠাৎ এভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন। জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই। বিবৃতিতে ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রফতানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে।

আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার রাজপথে নামছে জাপা

ন্যাপের শীর্ষ এই নেতা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি চরম ভোগান্তিতে থাকা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। এই সিদ্ধান্ত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনে ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল দেশের মানুষের ওপর নতুন করে অকল্পনীয় গজব চাপিয়ে দেবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় চরম স্বেচ্ছাচারিভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে- তা বন্ধ না করে মূল্যবৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ, অসৎ ব্যক্তির লোভের কারণে অর্থনীতির যে দশা হতে চলেছে, তাতে জনগণের ধৈর্য বজায় রাখা কঠিন। এরপরও গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।

ডিজেল, কেরোসিন পেট্রোল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি এই সিদ্ধান্তের মারাত্মক অভিঘাত পড়বে প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে। এর ফলে শিল্প, কৃষি পরিবহনসহ অর্থনীতির প্রতিটি খাত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। নতুন করে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাবে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৯৪ ডলারে নেমে আসা ও খাদ্যশস্যের দাম যখন কমতে শুরু করেছে, তখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ সময় অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ন্যাপ মহাসচিব।

এমই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর