জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি- সংগঠনের কর্মীরাই উল্টো পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশের বাঁধার মুখে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে সমাবেশ করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সংগঠনসমূহের কর্মীদের। তখনই রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ ও মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের মিছিল থেকেও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, হামলায় রমনা থানার এসি বায়োজিদ এবং শাহবাগ থানার এসআই রাশেদ আহত হয়েছেন।
এদিকে, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের দাবি- হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, কর্মী মশিউর রহমান, মিশাল ত্রিপুরা, জাবির বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী সংগঠনের আহমেদ জুবেল, সামি আব্দুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা নগরের সংগঠক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা নগরের কর্মী জাওয়াদ হোসেন, শান্তাসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হামলার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ চলাকালে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে। ওই সময় আমাদের নারী নেতাকর্মীদের হেনস্থা করা হয়। নারী পুলিশ সদস্য থাকলেও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমাদের নারী নেতাকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল করব।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টিতে রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, হামলার অভিযোগ অসত্য। পুলিশ তাদের ওপর কোনো হামলা করেনি। বরং তারাই পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
একেবি/আইএইচ
