বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘গাড়ি বন্ধ করি কি চুরি কইরগুম?’

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ০৫:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

‘গাড়ি বন্ধ করি কি চুরি কইরগুম?’
ছবি : ঢাকা মেইল

ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে সড়কে। লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে (আন্তঃজেলা) গ্যাসচালিত ৩২টির লোকাল বাসের মধ্যে ৩০টিই বন্ধ রয়েছে। যেকোনো সময় অবশিষ্ট বাস দুইটিও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। 

ঢাকা মেইলকে এমনটাই জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ বাস মালিক পরিবহনের সাধারণ সম্পাদক আল-মাসুদ।


বিজ্ঞাপন


আজ শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার ঝুমুর সিনেমা হল, উত্তর তেমুহনী, দক্ষিণ তেমুহনী ও বাস টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপর দিকে, বাসের চালক ও হেলপাররা কাউন্টারের ভেতরে ঘুমিয়ে অলস সময় পার করছেন। মাঝেমধ্যে দুই-একটা বাস ছেড়ে গেলেও সেগুলোতে বেশিরভাগ যাত্রী আসন ফাঁকা।

ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটের বাস ঢাকা এক্সপ্রেস কাউন্টার বন্ধ করে দিলেও ইকোনো সার্ভিস প্রতি ঘণ্টায় দুইটি বাস ঢাকা উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। তারা ৪৫০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। 

ইকোনো কাউন্টারের ম্যানেজার মো. সানাউল্লাহ জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমাদের প্রতি ঘণ্টায় এক-দুইটা বাস ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকায়। আমরা ভাড়া ৪৫০ টাকা করে নিচ্ছি।


বিজ্ঞাপন


মো. জামাল উদ্দিন নামে এক যাত্রী তার অসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন চিকিৎসা করার জন্য। তিনি জানান, হঠাৎ সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সাধারণ মানুষ খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে সরকার তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।

>> আরও পড়ুন : রাঙ্গামাটি থেকে ছাড়ছে না আন্তঃজেলার বাস, ভোগান্তি

বাস টার্মিনালে মিয়ামি (এয়ারকন) সার্ভিস কাউন্টার খোলা। তবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ। কাউন্টারের (জিএম) মো. মঞ্জুর সঙ্গে তিনি জানান, আমরা চাকরি করি। মালিকপক্ষ গাড়ি বন্ধ রাখতে বলছে। তাই বন্ধ রাখলাম। যখন নির্দেশ দিবে তখন আবার চালু করবো।

যমুনা নামে এক বাসের চালক মো. বাবুল হোসেন জানান, সকালে হেনীত্তাই লক্ষ্মীহুরে গাড়ি চালাই আইন্নোয়ের হথে যাত্রীগো কথা হুনি মন চাইছে গাড়ি চালানো বন্ধ করি দি।

lakshimpur

কারণ জানতে চাইলে, তিনি বলেন, হটাত করি ত্যালের দাম বাড়ি গেছে। এল্লাই ১২০ টেয়ার ভাড়া ১৫০ টেয়া কইচ্ছি। হেয়ারলাই যাত্রীরা ক্ষেপি গেছে। অন আন্ডা কিত্তাম?

তিনি বলেন, মালিক বলছে, দরকার অইলে গাড়ি বন্ধ করি দাও। গাড়ি বন্ধ করি কি চুরি কইরগুম?

ওই বাসের মালিক মো. আজাদ হোসেন বলেন, কিছু করার নেই। গাড়ি বন্ধ করে দিলাম। ২০ টাকার ভাড়া ২৫ টাকা খুঁজলে চালক ও হেলপারকে মারধর করতে আসে যাত্রীরা। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একটা সমাধান ছাড়া আমরা গাড়ি চলার অনুমতি দিবো না।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর