দুপুর ১টা তখন। পড়ন্ত রোদ। এমন সময়ে যশোর চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ডে আসেন লিয়াকত আলী মোল্যা নামে এক লোক। তিনি খুলনাগামী এক বাস কন্টাকটারের কাছে ভাড়া কত জানতে চান। কন্টাকটার বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ছিল ১১০ টাকা। আজ থেকে দেড় শ ভাড়া চাচা। গেলে আসেন, না গেলে সরেন।
শনিবার (৬ আগস্ট) শুধু চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ড নয়, এমন চিত্র ফুটে ওঠে যশোরে সব বাসস্ট্যান্ড।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাসমালিকরা কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়া ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভে সৃষ্টি হয়েছে। ভাড়া বেশি নেওয়ায় অনেকে ফিরে যাচ্ছে নিজ বাড়িতে।
লিয়াকত আলী মোল্যা বলেন, মেয়ে অসুস্থ খবর শুনে খুলনায় জামাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যে এতো ভাড়া বাড়ানো হবে, তা ভাবতে পারেনি। কয়েক দিন আগেই ভাড়া ছিল ১১০ টাকা। এখন সেই ভাড়া ৪০ টাকা বাড়িয়ে চাওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা।
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে গড়াই পরিবহনের কাউন্টারের টিকিট মাস্টার কোনো সদুত্তর উত্তর দিতে পারেনি। জানান, তেলের দাম বেড়েছে তাই পরিবহন ভাড়া বেড়েছে।
অপরদিকে যশোর থেকে চৌগাছায় যাওয়া যাত্রী আমানত আলী বলেন, শুক্রবার সকালে যশোরে গেছি ৩০ টাকা। আজ সেখানে ভাড়া নিচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। যেটা একবারে অমানবিক।
বিজ্ঞাপন
চৌগাছা রোডের গাড়িচালক জব্বার আলী বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রোডে যাত্রী কম। অনেকে ভাড়া বেশি কথা শুনেও বাড়িতে ফেরি যাচ্ছে। রাস্তায় বাসের সংখ্যায় কমে গেছে।
মোহাম্মদ মামুন কবির নামে এক যাত্রী বলেন, কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনিতো করোনা ভাইরাসের লকডাউনের প্রকোপ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেকেই। ইতোমধ্যে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা সরকারের অনৈতিক সিদ্ধান্ত।
প্রতিনিধি/এইচই