‘দেশে নাকি অনেক তেল। তাইলে এত তেল গেল কই। সরকার তো কদিন আগে কইলো তেল নাকি ব্যাপক মজুদ আছে। কোনো সমস্যা হইবো না। তাইলে আবার তেলের দাম বাড়লো ক্যান?’
কথাগুলো বলছিলেন গুলশানের একটি বেসরকারি অফিসের চাকুরীজীবি আনোয়ার হোসেন। তার মতে, হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে গুলশান আসার পথে বিআরটিসি বাসের দ্বিতীয় তলায় বসে এমন করে তেলের দাম বাড়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছিলেন তিনি।
তার কথা শেষ না হতেই পাশের সিটের রুহুল নামে আরেক যাত্রী বলে উঠলেন, ছয় মাস আগেই তো তেলের দাম বাড়লো আবার কেন দাম বাড়াতে হবে? কোনো প্রকার ঘোষণা ও কারণ ছাড়াই দাম বাড়ানোটা তো জুলুম।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাসে আমরা হেলপারের সাথে ভাড়া বাড়া নিয়ে কেন তর্কে জড়াবো। সরকার তো এখনো ঘোষণাই দিল না বাস ভাড়া কত হবে। আর তেলের দাম বাড়ানোর খবর দেওয়া হলো রাতে। সরকার তো বলল দেশে নাকি তেলের ঘাটতি নাই তাহলে দাম বাড়ালো কেন?
‘তেলের দাম হঠাৎ কেন বাড়ল এই জবাব আমরা কার কাছে চাইবো। কেউ তো কথা বলে না। সবাই চুপ করে আছে’ বললেন তার পাশে থাকা আরেক যাত্রী।
বিজ্ঞাপন
তাদের এমন কথা শুনে কুড়িলগামী এক মধ্য বয়সী যাত্রী বলে উঠলেন, ভাই তেলের দাম কেন বাড়ল এসব তো রাজনীতির কথা। এখানে না বলে অন্যখানে বইলেন।
তাদের এমন তর্ক বিতর্কের মাঝেই বাসের হেলপার নয়ন এসে বাড়তি ভাড়া আদায় শুরু করলেন। এবার কয়েকজন যাত্রী ক্ষেপে গিয়ে বলতে শুরু করলেন, ওই মিয়া সরকার তো এখনো তেলের দাম বাড়ায় বাসের ভাড়া কত হবে ঘোষণাই দিলো না আর তুমি বেশি ভাড়া নেওয়া শুরু করে দিলা।
নয়নের সাফ জবাব ছিল— ‘আমারে কইতাছেন ক্যান? সরকারকে জিগান ক্যান তেলের দাম বাড়াইলো।’
এমআইকে/এএস













































































