রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের আগে বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে। তখন ক্লাস চলছিল। এরপর কি ঘটেছে অনেকেই বলতে পারেন না।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে ক্যাম্পাসটির ৫০০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী কলেজটির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
তাদের মতে হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কতজন নিহত হয়েছে তা তারা বলতে পারেন না।
কয়েকজন জানান, দুপুরে তখন সময় ১টা পার হয়ে দেড়টার দিকে ঘড়ির কাটা এগোচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি ভবনে ক্লাস চলছিল। হয়তো ক্যাম্পাস ছুটি হতো আর ঘণ্টা খানেক পর। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।
তারা আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে শিক্ষক ও সুস্থ থাকা শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়। এরপর একে একে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, হতাহতের সংখ্যা অনেক হবে। কিন্তু সেটি প্রকাশ করা হচ্ছে না। ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের ধারণা অর্ধেকের বেশি মারা গেছে।
বিজ্ঞাপন
অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ঐ সময় ক্লাস করছিলাম। বিকট শব্দ হয়। সবাই রুম থেকে বেরিয়ে আসি। মাঠে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। পরে জানতে পারি সেটি প্রশিক্ষণ বিমান। এই ঘটনার সময় বিমানটির আশপাশে থাকা অনেক শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছে।
এদিকে কলেজ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত ১৯ জনের মধ্যে দুইজন শিক্ষক রয়েছেন।
এমআইকে/এফএ















































































































































