হাসপাতালের বেডে শুয়ে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের একজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর নিজে প্রাণে বেঁচে গেলেও অন্য সহপাঠী, আহতদের আর্তনাদের কথা বলতে গিয়ে নিজেই কান্না করে ফেলে নাম না জানা এই মেয়েটি।
সে বলছিল, ‘বিমান দুর্ঘটনা হওয়ার পরে আমরা যে সিঁড়ি দিয়ে বের হই সেই জায়গায় দেখি অনেকে গড়াগড়ি করতেছে। অনেকে আহত হয়ে কান্না করতেছে।’
বিজ্ঞাপন
পাশে দাঁড়ানো আরেকজন উদ্ধারকারী বলেন, ‘আমার চোখের সামনে কয়েকজনকে মারা যেতে দেখেছি। স্কুলের জুনিয়র সেকশনের ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।’
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির।

বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তাতে যে কারও গা শিউরে উঠবে।
বিজ্ঞাপন
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানটি মাঠের সামনে দিয়ে আসার পরপর পেছন থেকে ভবনে ঢুকে যায়। আমরা পাশেই কাজ করছিলাম, আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসে দেখি আগুন জ্বলছে।
ভেতরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা অনেকে জানালা দিয়ে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছিল জানিয়ে এই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কেউ কেউ দরজা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের কারণে অনেকে বের হতে পারেনি।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রাইমারি (প্রাথমিক) সেকশনের ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের দেয়াল ভেঙে যায়। যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটিতে মূলত প্রাইমারির ক্লাস হতো।

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ছুটির সময় কিছু শিক্ষার্থী গেইটের সামনে ছিল। মুহূর্তের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিইউ/এমআইকে















































































































































