রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে বিমান বিধ্বস্তের খবরে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিও দেখে এবং মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসেন শত শত মানুষ। মুহূর্তেই ভিড় জমে যায় চারপাশে— উৎসুক জনতা, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ব্যাপক ভিড় জমে যায় পুরো এলাকায়। এই ভিড় সামলে উদ্ধার অভিযান নিশ্চিত করতে সেনা হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা জানান, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই তারা উদ্ধার অভিযানে নামেন। কিন্তু জনতার জটলা, ভিডিও ধারণের প্রবণতা ও আতঙ্কিত মানুষের ছোটাছুটিতে কাজের গতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
বিজ্ঞাপন
একই অভিমত দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। তাদের মতে, এই ধরনের দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের ভিড় যেমন উদ্ধার কাজের গতি কমিয়ে দেয়, তেমনি নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় ঝুঁকি তৈরি করে। তাই দ্রুতই ঘটনাস্থলে ব্যারিকেড বসিয়ে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এসময় সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাইলস্টোন কলেজের সীমানার ভেতর, ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একপ্রকার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই কলেজ চত্বরের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন প্রিয়জনের খোঁজে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়, যেন কেউ গুজব না ছড়ায় এবং উদ্ধার কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে দ্রুত সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে এবং পুরো এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমআই/এফএ















































































































































