বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য এ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। প্রয়োজন হলে কিছু এলাকায় সেনাবাহিনীও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিজ্ঞাপন
প্রেস সচিব জানান, খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া, জানাজা ও দাফন—সমগ্র কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করা হবে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা আগের অভিজ্ঞতার আলোকে পুরো বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করেছে। সম্প্রতি বৃহৎ পরিসরের একটি জানাজা আয়োজনের অভিজ্ঞতা থাকায় বাহিনীগুলোর পূর্বপ্রস্তুতি ছিল; এবার সেটিকে আরও বিস্তৃত ও সুসংগঠিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিএনপির সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয় বজায় আছে। আয়োজনে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে বিষয়ে পার্টির পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এ মুহূর্তে কোনো শঙ্কার বিষয় বিবেচনায় নেই। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এআর





























































































