বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কান্না, আর্তনাদ আর নীরব শোকে ভারী হয়ে উঠেছে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিবেশ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় শোকাবহ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুসংবাদ শুনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। হাসপাতালে পৌঁছেই অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। কারও চোখে জল, কারও মুখে শোকের নীরবতা। কেউ কেউ হাসপাতালের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাতে মগ্ন হন।
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে সালমান নামের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা আজ অভিভাবকহীন হয়ে গেলাম।’ তার কণ্ঠে ভেঙে পড়া শব্দ শুনে আশপাশে থাকা অন্যদের চোখও ছলছল করে ওঠে। অনেকেই খালেদা জিয়াকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে কান্না করছিলেন।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। হাসপাতালের সামনে সড়ক ও ফুটপাতজুড়ে মানুষ জড়ো হয়ে পড়ে। ভিড়ের মধ্যে কেউ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কেউ আবার আবেগ সামলাতে না পেরে আহাজারি করছিলেন।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের সামনে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষকেও শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব রেখেছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের সমস্যাসহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
এএইচ/এমআই
























































