রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মঙ্গলবার বিকাল থেকে শত শত লোক জড়ো হয়েছে। সবার চোখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দিকে। সবার কান অধীর অপেক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফলের জন্য। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এখনো আসেনি। তাতে কি! তবুও দাঁড়িয়ে বসে হেঁটে চলছে অপেক্ষার প্রহর গোনা।
ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। কিন্তু তারও আগে থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে শত শত মানুষ। এসেছেন যুবক, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুরাও।
বিজ্ঞাপন
শিশু শিক্ষার্থী রুপা ও মনি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া এলাকা থেকে এসেছিলেন বাবার সঙ্গে। সন্ধ্যার আগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের দুই বোনের সঙ্গে দেখা এই প্রতিবেদকের। তখনো লোকজনের ভিড়ে গরমে গা ভিজে যাচ্ছে। একজন আরেকজনের হাত ধরে হাটছে৷ সঙ্গে তাদের বাবা। এ সময় কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।
মনি ও রুপা বলেন, তারা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাবার সঙ্গে আজ ঢাবি ক্যাম্পাসের নির্বাচন দেখতে এসেছে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা ছিল- তোমাদের কেউ প্রার্থী কি না? জবাব ছিল না। তবুও তারা এসেছিল।
মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন কলেজ শিক্ষার্থী রিপন। ডাকসু নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে এবং কেমন পরিবেশ তিনি দেখতে এসেছেন। তবে তিনি বিকেল থেকে অপেক্ষা করছেন কখন নির্বাচনের ফলাফল মিলবে। তার পছন্দের প্রার্থী ছাত্রদলের আবিদ। বাকিদের নাম তিনি যদিও বলতে পারেননি। তবে তার প্রত্যাশা ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল বিজয়ী হবে।

বিজ্ঞাপন
উত্তরা থেকে ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল সরাসরি শুনতে এসেছেন রিয়াজুল। রিয়াজুল ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থন করেন এবং ভালোবাসেন। তার মতে, ডাকসুতে তার পছন্দের প্রার্থীরাই বিজয়ী হবেন। এমন হলে ঢাবি এলাকায় কেমন পরিবেশ হতে পারে তা তিনি নিজ চোখে দেখতে এসেছেন। সঙ্গে তিনি নিয়ে এসেছেন তার অন্যান্য বন্ধুদের।
শাহবাগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় শত শত মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল কী হচ্ছে তা শুনতে জড়ো হয়েছেন এসব মানুষ। তবে কে কোন মতের বা দলের পক্ষ থেকে এসেছেন তা প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপস্থিত ব্যক্তিদের অধিকাংশ সাধারণ জনতা, জামায়াত-শিবির এবং ছাত্রদলের সমর্থক।
জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেওয়া মানুষকে ব্যারিকেট দিয়ে আটকে রেখেছে এপিবিএনের সদস্যরা। সঙ্গে আছে পুলিশ সদস্যরা। উপস্থিত লোকজন টিএসসির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে মানুষের ভিড় এতো বেশি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এমআইকে/ক.ম






















































































































