শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রথম দিকেই ভোট দিয়ে সাদিক কায়েম— ‘ইনশাআল্লাহ বিজয় হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ এএম

শেয়ার করুন:

প্রথম দিকেই ভোট দিয়ে সাদিক কায়েম— ‘ইনশাআল্লাহ বিজয় হবে’
প্রথম দিকেই ভোট দিয়ে সাদিক কায়েম— ‘ইনশাআল্লাহ বিজয় হবে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সভাপতি) পদে লড়ছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। ভোট দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি— শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেয়েছেন এবং বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালবেলা উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাদিক কায়েম। বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের গ্রহণ করেছে, ইনশাআল্লাহ বিজয় হবেই।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ভিপি পদে নির্বাচিত হলে ছাত্রদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন থাকবেন। তিনি নিজে একজন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তার অবস্থান সব সময় একীভূত। তাই ছাত্রদের মধ্য থেকে আসা একজন প্রার্থী হিসেবে সবার সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

সাদিক কায়েমের সঙ্গে সকাল ৮টার কিছু পর ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন একই প্যানেলের এজিএস (সহ-সম্পাদক) প্রার্থী মুহা. মহিউদ্দিন খাঁন। দুজনেই যথাসময়ে ভোট প্রদান করেন।

এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ২৮টি কেন্দ্রীয় ও ১৩টি হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪১টি পদের জন্য ভোট দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সংসদে প্রার্থী রয়েছেন ৪৭১ জন এবং হল সংসদে ১,০৩৫ জন।

ভোটগ্রহণ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট চলবে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক বুথ, মোট সংখ্যা ৮১০টি।


বিজ্ঞাপন


সকাল থেকে প্রায় সব কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের সক্রিয় উপস্থিতি দেখা গেছে। অনেকেই ভোট দিতে এসেছেন সকাল সকাল। তারা জানিয়েছেন, ভিড় এড়াতে এবং নিরাপদে ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা দ্রুত কেন্দ্রে চলে এসেছেন।

ভোট শুরুর আগে সকাল ৭টার দিকে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পৌঁছে যায়। এরপর তা সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো হলের বাইরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোটগ্রহণ। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনের জন্য নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব ও নিরাপত্তা বাহিনী। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ভোটে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা নেই। শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেটিই আমাদের অগ্রাধিকার।

ভোটাররা এবার ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি এবং হল সংসদের ১৩টি—মোট ৪১টি পদে ভোট দেবেন। এই কারণে প্রতিটি ভোটারকেই একাধিক ব্যালটপেপারে ভোট দিতে হচ্ছে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সময়সাপেক্ষ ও জটিল করলেও আগ্রহে ভাটা পড়েনি।

সুষ্ঠু ভোট ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আশাবাদী প্রার্থীরা। কেউ কেউ আত্মবিশ্বাসী, কেউ অপেক্ষায়। তবে সবার চাওয়া একটাই, বিশ্ববিদ্যালয় আবার ফিরে পাক প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্রসংসদ, যেটি হবে সচল, কার্যকর এবং শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর