ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারে পূর্বের তুলনায় পানি বৃদ্ধি হয়ে উপকূলবর্তী বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) বিকেলে বড়ইতলা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায় - জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে ও পাশের অনেকগুলো দোকান তলিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ব্যবসায়ীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখন উপকূলীয় জেলাগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা।
এছাড়াও জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে বেড়িবাঁধ পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেছে নদীর পানি। এ কারণে আতঙ্কে আছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবেলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় তিনটি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবকরা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৪২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ



























































































































































