বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর মোকাবেলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দু’লাখ ৮০ হাজার ৫০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
শনিবার (২৫ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক সাইফ-মিজান সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এ তথ্য দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি
সভায় জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘূর্নিঝড় রেমাল মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন থেকে একটি কন্টোলরুম-সহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে। ৬৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে, দু’লাখ ৬৩ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রাখা হয়েছে, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩৫০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬১১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য ৯৭ বান্ডিল টিন রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রেড ক্রিসেন্টের ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপি-এর ২৪২০ সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে বৃষ্টি
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার সময়ে তাদের বাড়ির মালামাল রক্ষায় পুলিশ টহল বৃদ্ধি করবে এবং আশ্রয়কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও মানুষের সহযোগিতার জন্য আনসার সদস্যরা কাজ করে যাবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ