বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধ ও জানমালের নিরাপত্তায় ছাত্রদলের সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি ছয় নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রদল।
রোববার (২৬ মে) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে- প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগ, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। রেমালের বিধ্বংসী প্রবণতা থেকে উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহের নেতাকর্মীদের প্রতি নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো-
১. উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষকে রেমালের ধ্বংসাত্মক প্রবণতা সম্পর্কে জরুরিভাবে সতর্ক করার প্রয়োজনে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
২. সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। গবাদি পশুগুলোকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। বাঁধ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
৩. শুকনো কিংবা রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
৪. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ইউনিটে অন্তত একটি রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।
৫. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।
৬. নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী- ক্রমান্বয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিক ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল।’ মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিইউ/এমআর