শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রেমালের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি থাকবে কয়দিন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪, ০৬:১১ এএম

শেয়ার করুন:

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
ফাইল ছবি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাবে। এ সময় তাপমাত্রা কমে আসবে।

রোববার (২৬ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ অবস্থা নিয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গে টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, বাতাসের গতিবেগ পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ৮৯ কিলোমিটার নির্ণয় করা গেছে। তবে ধীরে ধীরে তা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এ সময় সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

রাতে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসময় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


বিজ্ঞাপন


খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৮-১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৩) এ তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমির বেশি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর