বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, আসছে মহাবিপদ সংকেত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৪, ০১:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

‘১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, আসছে মহাবিপৎ সংকেত’

বঙ্গোসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিয়ে রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।


বিজ্ঞাপন


  

মুহিববুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার নাগাদ খুলনার সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামের কক্সবাজারের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এজন্য শনিবার মধ্যরাতে মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে।

আরও পড়ুন

‘রেমাল’ আঘাত হানতে পারে যেসব এলাকায়

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। এটা (সতর্ক সংকেত) রাতে ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। রাত ১২টা-১টা নাগাদ এটা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রামের কক্সবাজার পর্যন্ত কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ministerপ্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৮টায় আবার এই মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১১টায় আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। এক কথায় এ ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।

মহিববুর রহমান বলেন, উপকূলীয় জেলায় আমাদের প্রায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এগুলো আমরা প্রস্তুত রেখেছি। খাদ্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে এগুলো মজুত রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরও সাপ্লাই দিতে পারি এজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। 

আরও পড়ুন

খেপুপাড়া হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে ‘রেমাল’

এদিকে শনিবার আবহাওয়া অধিদফতরের ছয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

আরও পড়ুন

ভয়ংকর হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, শঙ্কা জলোচ্ছ্বাসের

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এমআর

  1. সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

    ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রাতেই শক্তি সঞ্চয় করে রোববার (২৬ মে) সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে।

    শনিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকার আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান।

    তিনি জানান, গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত ৯টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর রোববার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে।
     
    সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসছে বিধায় এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অতি দ্রুত মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে উপকূল অঞ্চলে চলে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
     
    প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি হবে বলছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড় রেমাল ভারতের সাগরাইল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে জানান তারা। 

    এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর