ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর কারণে সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এখনও বহাল রয়েছে। সমুদ্রবন্দর মোংলা থেকে মাত্র ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। এরই মধ্যে দমকা বাতাসসহ থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন।
রোববার (২৬ মে) মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ ও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবেলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র
এ বিষয়ে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে সাড়ে চার ফুট পানি বেড়ে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। রাতে পানির চাপ আরও বাড়বে। তবে প্রজননকেন্দ্রের বণ্যপ্রাণীর ক্ষয়-ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে পুরো সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষীদের এরই মধ্যে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন ও মোংলা উপকূল অতিক্রম করে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়বে।
প্রতিনিধি/ এমইউ