শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রেমাল: রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

রেমাল: রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের ও তৃণমূল পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। 

রোববার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দফতরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) এ আয়োজিত জরুরি বৈঠকে যোগ দিয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এ সময় দুর্যোগ মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছে বলে জানায় সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রী বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় দেশের ৪৯টি মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় সেদিকেও সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ও জরুরি সহায়তায় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তায় উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সাথে কাজ করতে মাঠে আছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক।

এরইমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিং করে স্থানীয় জনগণকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সচেতন করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় বিষয়ে স্থানীয়দের অবগত করে যাচ্ছেন তারা। টেকনাফ ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। 

সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত ও সতর্ক বার্তা প্রচারে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষিত ইউনিয়ন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম (ইউডিআরটি) কমিটির সদস্যদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সরঞ্জামও। উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া তারপলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত রেখেছে সোসাইটি যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে।


বিজ্ঞাপন


এদিকে গত সপ্তাহ থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলোতে বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ৮ জেলায় (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠি) রেড ক্রিসেন্টের আগাম সতর্কতা কার্যক্রম চলছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়া অধিদফতর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), আইএফআরসি ও Anticipatory Action Technical Working Group এর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন আলবার্টো বোকানেগ্রা ও বিভিন্ন পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর