বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রেমাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

রেমাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার হবে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। (ফাইল ছবি)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় উপকূলীয় এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা নাকি বন্ধ থাকবে সে ব্যাপারে স্ব স্ব জেলাগুলো সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানান তিনি।

রোববার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক কর্মশালায় মন্ত্রী এই কথা বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুর্যোগকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে স্ব স্ব জেলাগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। ঝড়ের কবলে পড়তে পারে এমন জেলাগুলোর স্ব স্ব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে যেভাবে ব্যবহার করা যায়, তা করবে। সেক্ষেত্রে সেসব এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস স্থগিত থাকবে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে উপকূলীয় জেলাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্থায়ী আদেশ মোতাবেক জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো ব্যবহার ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Nowfel

দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, আট লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে; তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গতকাল বলেছিলাম- আজকে ভোর থেকে এটা শুরু হতে পারে। ঝড়ের গতি কম ছিল বলে আজ ভোরে আসেনি। গতকালকে গতিবেগ ছিল ১৬ থেকে ১৭ কিলোমিটার। ভোরে এটার গতি কমে ১০ নিচে চলে আসে, পরবর্তীতে ৬ কিলোমিটারে নিয়ে আসে। যার জন্য এটা সময় মতো এখনো পৌঁছেনি। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটা মহাবিপৎসংকেতে আমাদের পরিণত হয়েছে এবং আজ সন্ধ্যা লাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ভাগ অতিক্রম শুরু হবে। মধ্যরাতে মূল যে ঝড় সেটা বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর