ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গতরাত থেকে বৃষ্টি ঝরছে রাজধানীতে। কখনও মুষলধারে কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরে। সোমবার (২৭ মে) সকাল আটটার পর বাতাসের সঙ্গে শুরু ভারী বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টি আর যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
অফিসগামীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ফুটপাতের দোকানিদেরও সমস্যায় পড়েছেন। তারপরেও এক ধরনের যুদ্ধ করেই গন্তব্য যেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বিজ্ঞাপন
শান্তিনগর, নতুনবাজার, বাড্ডা, মগবাজার, মালিবাগ, মিরপুর- ১১ নম্বর, পল্লবী, কালসি, মিরপুর- ১০সহ পুরো রাজধানীজুড়েই ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অফিসগামী মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ বাসে উঠতে পারলেও অনেকে উপায় না পেয়ে অটোরিকশা ভাড়া করে গন্তব্যে ছুটছেন। আবার যাদের কাছাকাছি অফিস তারা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। ছাতা থাকলেও তাদের শরীরের নিচ ও পেছনের অংশ ভিজে একাকার হয়ে গেছে।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে পল্টনে অফিসে যাওয়ার জন্য মধ্যবাড্ডায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাদ্দাম হোসেন। পুরো শরীর ভেজা অবস্থায় ফ্লাইওভারের নিচে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পর বৃষ্টিতে শরীরের নিচের অংশ ভিজে গেছে। বৃষ্টির যে গতি তাতে ছোট ছাতা থাকলেও রেহাই পাইনি। এমনটা হবে ভেবে বিকল্প কাপড় ব্যাগে নিয়েছি। অফিসে গিয়ে পরিবর্তন করব।’
সাদ্দামের মতো বাসের জন্য অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রীর এমনই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। কারও প্যান্ট, পায়জামা ভিজে গেছে। আবার কারও পুরো শরীর ভিজে একাকার। বৃষ্টির পাশাপাশি যানজট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছেছে। স্কুল-কলেজগামী ও অন্যান্যদের অবস্থাও একই।
সাড়ে নয়টার দিকে রামপুরার আবুল হোটেলের সামনে থেকে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে উঠে নতুনবাজার নামেন রেজওয়ান। এই পথে আসতে বেশ কয়েকবার যানজটে পড়তে হয় তাকে। রেজওয়ান বলেন, রামপুরা ব্রিজ পার হওয়ার পর গাড়ি অনেক সময় আটকে থাকে। সবমিলিয়ে মারাত্মক ভোগান্তির সকাল ছিল আজ।
এমআর