খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মেট্রোরেলে ভিড়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীতে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় পৌঁছে যানজট, ভিআইপি মুভমেন্ট ও সড়ক বন্ধের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে মেট্রোরেলকে বেছে নিচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই জানাজাস্থলে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানান তারা।

রাজশাহী থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসেন বিএনপিকর্মী রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম ও আরিফ হোসেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, বাসে এলে দেরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই ট্রেনে করে কমলাপুরে নেমে মেট্রোরেল ধরেছি। এতে সময় বাঁচছে।

একই জেলার সাইফুল আলম জানান, রাজধানীতে ঢুকতেই যানজট শুরু হয়ে যায়। জানাজা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিতে চাইনি। মেট্রোরেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছানো যাবে বলে মনে হচ্ছে। আর আরিফ হোসেন বলেন, আগে কখনো বড় কর্মসূচিতে মেট্রোরেল ব্যবহার করিনি। আজ বুঝলাম, জরুরি সময়ে এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।

এদিকে পাবনা থেকে আসা বিএনপি সমর্থক মিজানুর রহমান বলেন, ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে সড়ক বন্ধ থাকতে পারে শুনেই আমরা ট্রেন ও মেট্রোরেল বেছে নিয়েছি। এতে বাড়তি ভোগান্তি নেই। নরসিংদী থেকে আগত যাত্রী শামীম আহমেদ জানান, লোকাল বাসে এলে সময় লাগত অনেক বেশি। মেট্রোরেলে সরাসরি খামারবাড়ি নেমে হাঁটলেই জানাজাস্থল।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকাল বাস, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় করেও অনেকে জানাজাস্থলের দিকে যাচ্ছেন। সবার লক্ষ্য দুপুর ২টার আগেই জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছে নির্ধারিত সময়ে জানাজায় অংশ নেওয়া।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রেনে ঢাকায় নেমে যানজট এড়াতে এবং দ্রুত জানাজাস্থলে পৌঁছাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ মেট্রোরেলকেই নিরাপদ ও কার্যকর যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।