শুক্রবার রাতে ১০ লাখ টাকার মাল তুলেছিলেন রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম। মাল তুলে হিসাব করতে পারেননি। বিক্রি-বাট্টা করে দ্রুত গভীর রাতে বাসায় চলে যান। কিন্তু শনিবার সকালে উঠে শোনেন- দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার যা পুঁজি ছিল তা আজ শূন্যের কোটায় নেমে গেছে। এখন তিনি দিশেহারা। কী করবেন, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নিউ মার্কেটের ওভারব্রিজের সামনে মইনুলের সঙ্গে কথা হচ্ছিল এই প্রতিবেদকের। তিনি বলছিলেন, তিনি ছাড়াও তার আরও দুই স্বজনের দোকান পুড়েছে। সব মিলে তিন দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল ছিল। যার কোনোটাই রক্ষা করতে পারেননি তারা।
বিজ্ঞাপন
স্বামীর দোকান পুড়েছে খবর শুনে ছুটে এসেছেন মইনুলের স্ত্রী সনিয়াও। তিনি ও তার একমাত্র কন্যা কান্নাকাটি করেছিলেন চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে। স্বামীকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন স্ত্রী।

সনিয়ার সাথে আসা তার স্বামীর বোন নিলুফা জানান, তার ভাইসহ আরও দুইজনের দোকান পুড়েছে। এক দোকানে ছিল ২৫-৩০ লাখ, আরেকটিতে ৫-৭ লাখ টাকার মাল।
তার দাবি, ছোট ভাইয়ের দোকানে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকার মালামাল ছিল৷ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব ছিল গার্মেন্টস আইটেম।
বিজ্ঞাপন
বাবার দোকান পুড়েছে শুনে মায়ের সাথে ছুটে এসেছে নিলা। স্কুলছাত্রী নিলা বলে, আমার বাবার সব শেষ হয়ে গেল। প্রতিদিন তিনি আট থেকে ১০ লাখ টাকার মাল তুলে বিক্রি করেন। আজ তার বাবার সেই পুঁজিও শেষ হয়ে গেল। কথাগুলো বলতে বলতে নিলা অঝোরে কাঁদছিল।
এমআইকে/জেবি




































































