নিজের সমস্ত পুঁজি দিয়ে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে চারটি দোকান গড়ে তুলেছিলেন ওবায়দুল্লাহ রনি। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তিল তিল করে জমানো টাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তুলেছেন প্রায় ১ কোটি টাকার মালামাল। কিন্তু শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে লাগা আগুনে মুনাফা লাভের আশায় ‘বিধিবাম’। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হলো সব স্বপ্ন।
এদিন অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ীদের অনেকেই কিছু মালামাল বের করতে পারলেও পারেননি তিনি। হয়তো কিছুই করার ছিল না তার। চোখের সামনে পুড়ছিল নিজের চার চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অসহায় হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেটাই দেখছিলেন ‘স্বপ্নবোনা’ দুচোখে।
বিজ্ঞাপন
অনেকটা কষ্ট আর কিছু রক্ষা করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপ করছিলেন রনি। বললেন, ২৬২, ২৬৩, ২৪৬/১- এই চারটি দোকান ছিল তার। এক দিনেই সব শেষ! কিচ্ছু নেই।
রনি বলেন, ঈদের আয়ে সারাবছর চলি। এখন পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ওবায়দুল্লাহ রনির সঙ্গে আলাপকালে পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন আরেক ব্যবসায়ী মাহবুব শেখ। মার্কেটের দোতলা ও তিনতলা মিলে চারটি দোকান ছিল তার। ২৬০, ২৬১, ২২৬ ও ২৮৬।
ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, শার্টের ব্যবসা। প্রায় ১ কোটি টাকার বেশি মূল্যের মালামাল ছিল। রাতে সব ঠিক দেখে গেলাম। সকালে আইসা দেখি দোকান পুড়তেছে।
বিজ্ঞাপন
একই মার্কেটে দুটি দোকানের মালিক টুটুল বাড়ৈ। নিজের দোকানে নিজেই ব্যবসা করেন। দোকান নম্বর এস ১০ ও এস ১৩। সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে নিঃস্ব এই ব্যবসায়ী বলেন, সরকার আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে। ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
কারই/এইউ




































































