চোখের সামনে সব শেষ হইয়া গেল। দেখলাম কিন্তু কিছু করবার পারলাম না। আমার এত টাকার ঋণ শোধ করব কীভাবে?
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা কলেজের গেটের সামনে ঢাকা মেইলকে কথাগুলো বলছিলেন নিউ সুপার মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হাসনেয়ারা বুটিক হাউজের মালিক মহাসিন খান।
বিজ্ঞাপন
মহাসিন খান প্রায় দুই যুগ ধরে নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ব্যবসা করেন। বছর খানেক আগে ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য নতুন একটি দোকানও নিয়েছেন। নতুন দোকানে ১২ লাখ টাকা খরচ করে ডেকোরেশন ও ৯ লাখ টাকার মালামাল তুলেছেন। আজ ভোরে তিনি তার কারখানায় ছিলেন। সেখান থেকে আগুনের খবরে ছুটে আসেন তিনি। ছুটে এসে দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন।

মহাসিন জানালেন, তার দোকানে ৯ লাখ টাকার মালামাল ছিল। যার সবটাই পুড়ে গেছে। কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
পাইকারী ব্যবসায়ী রাজু বলেন, আমারসহ আরও কয়েকজন বন্ধুর চার থেকে পাঁচটা দোকান পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, তার দোকানেই কয়েক লাখ টাকার মাল ছিল। যা তিনি ঈদের মার্কেটে বিক্রিও করছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সারিতে থাকা সব দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এইভাবে আগুন লাগলে আমরা বাচুম ক্যামনে? সব পুইড়া গেল!

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অধিকাংশ ব্যবসায়ী কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। রাতে তারা দোকান বন্ধ করে চলে গেছেন। সেহরি খেয়ে সকালে ঘুমিয়েছিলেন। কেউ সকাল সাতটা কেউ সাড়ে ছয়টার দিকে খবর পেয়েছেন। কিন্তু ততক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে জড়ো হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই কান্নাকাটি করছেন।
এখন পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে ধোঁয়া বের হচ্ছে ভবনটি থেকে।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ৫টা ৪৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস খবর পায় এবং তাদের প্রথম ইউনিট ছুটে যায়। সোয়া ৬টা পর্যন্ত ১৮টি ইউনিট এবং পরে আরও ১২ ইউনিট মিলে মোট ৩০টি ইউনিট একযোগে কাজ করে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এমআইকে/এমএইচএম




































































