আগুন থেকে রক্ষা করা গেলেও সেগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি— একদল লোক অগ্নিকাণ্ডের সুযোগ নিয়ে আগুন থেকে রক্ষা করা মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের ভিড়ে চোর শনাক্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
ব্যবসায়ীদের দাবি— আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে দোকানিরা কিছু কিছু মালামাল সড়কের পাশে স্তূপ করেছেন। কেউ কেউ পাহারা দিলেও অনেকে খোলা আকাশের নিচে রেখে গেছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। যারা চুরি করছে তারা নিজেদের দোকানের মালিক বা স্টাফ দাবি করে এসব মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। সুযোগ বুঝে ঘাড়ে করে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এনিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে, অগ্নিকাণ্ডস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে তারা প্রবেশ অনুমতি বাতিল করে। এতে পোড়ার অপেক্ষায় থাকা মালামালও পুড়ে যাবে বলছেন তারা।
মার্কেটটির ৩৩ নম্বর দোকান মালিক আবুল কালাম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের দোকানে ডুকতে দিচ্ছে না। অল্প কিছু মাল বের করতে পেরেছি। আগুন ধেয়ে আসছে। ঘাড়ে করে ১ বস্তার বেশি মাল বের করা যায় না। পরবর্তীতে গিয়ে দেখি আরও ২/১টা বস্তা মাল চুরি হয়ে গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আগুন থেকে বাঁচাতে দোকানিরা আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে দোকানিরা কিছু কিছু মালামাল সড়কের পাশে স্তূপ করেছেন। কেউ কেউ পাহারা দিলেও অনেকে খোলা আকাশের নিচে রেখে গেছেন। কেউ কেউ মালামাল স্তূপ করছেন আর্ট কলেজের মাঠে (মার্কেট সংলগ্ন)। ব্যবসায়ীদের অনুপস্থিতিতে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা।
জানা যায়, আগুনের খবর শুনে নিউ সুপার মার্কেটের নিচে এসে ভিড় করছেন ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তারা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার আকাশ-বাতাস।
বিজ্ঞাপন
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
ডিএইচডি/এইউ




































































