রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনের শোক ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীসহ দেশের মানুষ ভুলতে পারেনি। এরইমধ্যে রাজধানীর আরেক জনপ্রিয় মার্কেট নিউ সুপার মার্কেট পুড়ছে আগুনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ২৮টি ইউনিট কাজ করছে।
চলতি রমজান মাসের (৪ এপ্রিল) ভোর ৬ টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিটের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ওই আগুনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক ব্যবসায়ী। তার ১০ দিন পরই আরেক মার্কেটে লেগেছে ভয়াবহ আগুন।
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছেন বিজিবি, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী। খবর পাওয়ার পর থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছেন, অঝোরে কাঁদছেন। যারা মার্কেটটির দোকানে কাজ করেন, তারাও কাঁদছেন এই দৃশ্য দেখে।

একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন সামছুল। তিনি বলেন, সকালে কেবল ঘুমাবো। নামাজ পড়ে শুয়েছি। তখন ফোনে জানলাম মার্কেটে আগুন লাগছে। এর ঘণ্টাখানেক আগে মার্কেটের লোকজন বাসায় যায়। সারারাত বিক্রির পর এমন একটা খবর আসছে, আর চোখের সামনে বঙ্গবাজার চইলা আইছে।
মার্কেটের এক ব্যবসায়ী কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, আমার সব সম্বল শেষ হইয়া গেলো। এই আগুন আমাগো ব্যবসায়ীদের সব কাইরা নিলো।
বিজ্ঞাপন
আগুনের খবর পেয়ে অনেকেই দেখতে এসেছেন। এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা ছানোয়ার হোসেইন বলেন, নামাজ পড়ে শুয়েছিলাম। ঘুম ভেঙে ৭ টার পর শুনি নিউমার্কেটে আগুন লাগছে। আমিসহ আমাদের ফ্ল্যাটের অনেকেই আসছি। যদি কোনো সহযোগিতা করা যায়। এই সকালের আগুনে বঙ্গবাজারের কতো ব্যবাসায়ী পথে বসে গেছে দেখলাম। এখানকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে, কষ্টও হচ্ছে।

এই রিপোর্ট লেখার সময় মানুষের ভিড় বাড়ছিল ওই এলাকার আশপাশে। ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বাসিন্দারাও এসেছেন আগুনের খবর শুনে। সবার মুখে আফসোস আর ব্যবসায়ীদের কারো চোখে জল। কেউ উৎকণ্ঠায় তাকিয়ে আছে।
একটি কসমেটিক্স দোকানের বিক্রয়কর্মী জলিল বলেন, মালিকদের সঙ্গে আমাদেরও স্বপ্ন আশা সব শেষ।
আগুনে প্রচণ্ড ধোঁয়া সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ফায়ার ফাইটার অসুস্থ হয়ে পরছেন। তবে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
ডব্লিউএইচ/এমএইচএম




































































